এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ভোটে কেন্দ্রীয়বাহিনী নিয়ে নয়া নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনার, জোট তোড়জোড় রাজ্যের

ভোটে কেন্দ্রীয়বাহিনী নিয়ে নয়া নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনার, জোট তোড়জোড় রাজ্যের

গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে আসছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন। মার্চের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আর নির্বাচনের দিনক্ষণ আর কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়ে গেলেই আগামী মে-জুন মাস নাগাদ ভোট হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় ভোটে কেন্দ্রীয়বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করে দিল নির্বাচন কমিশন।

লোকসভা ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্যে গতকাল বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। রাজ্যের সবগুলি জেলার রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের ADG (আইন-শৃঙ্খলা)-র সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ় আফতাব। উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের অন্য আধিকারিকরা।

এই বৈঠকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করার পাশাপাশি জোর দেওয়া হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ভোটগণনা সহ সব বিষয়েই। নির্বাচন কমিশনের এই ব্যস্ততা থেকে বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোটের আর বেশিদিন বাকি নেই।

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে, গতকালের বৈঠকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টির উপর। যাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। আর এই ব্যবস্থা নির্বাচনের দিনক্ষণ প্রকাশের আগেই করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন কমিশনের আধিকারিকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশিত হলেই ভোটবুথগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যে রাজ্যে পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সেই বাহিনীকে যাতে ঠিকঠাকভাবে কাজে লাগানো যায়,সেদিকেও সতর্ক থাকার বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। গননা কেন্দ্রে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট যাতে সঠিকভাবে রাখা যায় এবং স্ট্রংরুমের দায়িত্ব যাতে ঠিকঠাক ভাবে তুলে দেওয়া হয় সে বিষয়টিও পরিস্কারভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। একাধিক জায়গায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির সংঘাতের নজির সামনে এসেছিল। এছাড়া ভোট নিয়ে কারচুপি করার ভুরিভুরি অভিযোগও উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। তাই এবার রাজ্যে নির্বাচন নিয়ে সমস্তরকম দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে আগে থেকেই সতর্ক থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে যাতে এবার প্রার্থীরা কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হন তার জন্যে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এবার প্রথম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় রিটার্নিং অফিসারের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন পুলিশ সুপার বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এবারই প্রথম প্রার্থীদের হলফনামা জমা দিতে হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।

কমিশনের এই নির্দেশ যাতে অক্ষরে অক্ষরে পালন হয় তার জন্যে সমস্ত বিষয়টি ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের। এসবের পাশাপাশি নির্বাচনের আবহে বেআইনি মদ বিক্রি আটকাতেও অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ রয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পক্ষ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!