এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিরোধীদের সুযোগ করে দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, জল্পনা তুঙ্গে

বিরোধীদের সুযোগ করে দিয়ে লোকসভা ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, জল্পনা তুঙ্গে

তৃণমূলে অন্যতম মাথাব্যথা যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন হয় না। বার বার দলের নেতা নেত্রীরা সতর্ক করেছেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ইতি টানার উদেশ্যে। কিন্তু কাজ হয়নি। বার বার সতর্ক করা স্বত্তেও কাজ না হওয়ায় মাঠে নেমেছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী। দিয়েছেন শাস্তির হুঁশিয়ারি। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। যা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে দলের।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বড় উদাহরণ হলো ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম ও কাইজ়ার আহমেদের গোষ্ঠীকোন্দল। দলের তরফে একাধিকবার গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার হুঁশিয়ারিও বার বার দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তা স্বত্তেও ফের একবার উঠে এলে আরাবুল ইসলাম ও কাইজ়ার আহমেদের গোষ্ঠীকোন্দল। কি নিয়ে এই কোন্দল ?
জানা যাচ্ছে যে, এবারের কোন্দলের কারণ আবার স্বয়ং নেত্রীর সভার জন্য আয়োজিত কর্মিসভা নিয়ে।

এদিন দলের তরফ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয় যেখানে প্রকট রূপে দেখা মিলেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। জানা যাচ্ছে আগামী ১৪ ই মে ভাঙড়ে নির্বাচনী জনসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তা নিয়ে আলোচনার জন্য হাতিশালায় একটি কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি, আরাবুল ইসলাম সহ অন্যরা । সভা শুরু ঠিকঠাকভাবেই হয় কিন্তু ছন্দপতন ঘটে কাইজ়ার আহমেদ সভাস্থানে এসে উপস্থিত হলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কাইজার আসার পর আরাবুলকে ভাঙড় 2 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ওহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখার জন্য অনুরোধ করলে তিনি বক্তৃতা দিয়ে অস্বীকার করেন। বার বার অনুরোধ করার পরেও তিনি বক্তৃতানা দিয়ে চিৎকার করে তিনি সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও বিষয়টিকে সামাল দিতে এগিয়ে আসেন জেলা সভাপতি। তাঁর মাথার হাত বুলিয়ে তাঁকে শান্ত করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। তার পর ফের তাঁকে সভায় দেখা যায়।

এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে যে কি কারণে কাইজ়ারকে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে বক্তৃতা দিলেন না আরাবুল ? আরাবুল বা কাইজার এই বিষয়ে মুখ না খুললেও মুখ খুলেছেন স্থানীয় নেতারা। তাদের দাবি যে একাধিকবার আরাবুল সহ অন্য নেতাদের দলীয় সভায় হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েও তাঁদের কার্যত দর্শকের ভূমিকায় রেখে নিজেই বক্তৃতা দিতেন। যা নিয়ে ক্ষোভ ছিল আরাবুলের। বার বার তা প্রকাশও করেছেন। আর আজ তাই কাইজারের সামনে তাঁকে বক্তৃতা দেবার কথা বললে তাঁর পুরোনো কথা মনে পরে যায় যে কারণে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

যদিও বিষয়টিকে গোষ্ঠীকোন্দল মানতে নারাজ দল। এই নিয়ে এদিন জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য হলো এটা মান-অভিমানের বিষয়।  কিন্তু এই নিয়ে পারদ চড়েছে রাজনৈতিক মহলে।তাদের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের মুখে দুই দাপুটে নেতার এই কোন্দল তৃণমূলের পক্ষে খুব একটা লাভদায়ক হবে না ,এর ফলে বিরোধীরা সুবিধা করে নিতে পিছপা হবে না। যার জেরে আদতে ক্ষতি হবে দলের। তাই এই কোন্দল মিটিয়ে দলের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় শ্রেয় বলে মত রাজনৈতিকমহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!