এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোটে আশানুরূপ ফলাফল না আসায়, অপসারিত করা হলো কৈলাস ঘনিষ্ঠ সংঘের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীকে

ভোটে আশানুরূপ ফলাফল না আসায়, অপসারিত করা হলো কৈলাস ঘনিষ্ঠ সংঘের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফলাফল না আসায় অপসারিত করা হলো আরএসএসের বাংলার বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত ক্ষেত্র প্রচারক প্রদীপ জোশিকে। তিনি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁকে এবার চন্ডিগড় থেকে সর্বভারতীয় সম্পর্ক প্রমুখের দায়িত্বে এনেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। তাঁর স্থলে এলেন রমাপদ পাল। প্রসঙ্গত, বিজেপিতে আরএসএস এর যে যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ আছে, তা অস্বীকার করা যায় না। অনেকেই বলে থাকেন, একদিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অন্যদিকে প্রদীপ জোশির নির্দেশে চলছিল রাজ্য বিজেপি। নির্বাচনের ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় প্রদীপ জোশির ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে হয়েছিল সংঘ। এর পর হলো তাঁর অপসারণ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত ৯ ই জুলাই থেকে চিত্রকূটে আরএসএসের বর্ষাকালীন বৈঠক শুরু হয়েছে। আরএসএসের বছরে তিনটি বৈঠক হয়ে থাকে। মার্চ মাসে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা, জুলাই মাসে বর্ষাকালীন বৈঠক, অক্টোবর মাসে দীপাবলি বৈঠক। এদের মধ্যে বর্ষাকালীন বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বর্ষাকালীন বৈঠকেই পদাধিকারীদের উত্তরণ, অপসারণের বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলার বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত ক্ষেত্র প্রচারক প্রদীপ জোশিকে অপসারিত করা হলো। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের প্রচারক জলধর মাহাতোকে কলকাতার সহ ক্ষেত্র প্রচারক করা হলো। প্রশান্ত ভট্টকে দক্ষিণবঙ্গের প্রান্ত প্রচারক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে কলকাতায় পাঠানো হয়েছিল প্রদীপ জোশিকে। নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন তিনি। জানা গেছে, ভোটের সময় রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে অপসারিত করে দেওয়ার পেছনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল। এই নির্দেশ নিয়ে যথেষ্ট বিরোধীতা হয়েছিল বিজেপিতে। এরপর বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ে তাঁর ওপর অসন্তুষ্ট হয় সংঘ। আবার কৈলাস বিজয়বর্গীয়র তিনি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এরপর তাঁকে অপসারিত করে দেয়া হলো, তাঁর স্থলে আনা হলো রমাপদ পালকে। তবে, এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন যে, এটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ব্যাপার। সংঘের নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের রদবদল করা হয়ে থাকে। এর সঙ্গে বিজেপির কোন যোগ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!