হুহু করে কমছে ভোটব্যাঙ্ক,একত্রিত বিরোধীরা আশঙ্কা চেপে বসছে গেরুয়া শিবিরে রাজ্য June 3, 2018 সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া নির্বাচন-উপনির্বাচনে বিজেপির ফলাফল নজর কাড়ছে। ক্রমশ পিছনের দিকে সরছে তাঁরা। হু হু করে কমছে ভোট। সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে বিজেপির এহেন পরিনতি স্বাভাবিক ভাবেই চাপে ফেলছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বদের। সবথেকে বেশি পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে বিজেপির শক্তিঘাঁটি উত্তরপ্রদেশের কৈরানা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে। এখানে বিজেপির ভোট কমে হয়েছে মাত্র ৪৬.৫%। অথচ ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে জাঠেদের এই কেন্দ্র থেকে বিজেপি জিতেছিল ৫০.৬% ভোএ নিয়ে। ভোট বাড়ার দরকার ছিল না,আপাতত এই সংখ্যাটাও যদি বিজেপি ধরে রাখতে পারতো তবেই বিজেপিবিরোধী দলগুলোকে দমন করা সম্ভব হবে। কৈরানার মতো বিজেপি বিরোধী হাওয়া বইছে উওরপ্রদেশের গোরক্ষপুর,ফুলপুরের মতো কেন্দ্রগুলোতে। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রেও বিজেপিশিবির সংকটে। সম্প্রতি হওয়া পালঘর উপনির্বাচন সেরকমই ছবি দেখালো। পালঘরে ৮%, ভান্ডারা ও গোন্ডিয়ায় প্রায় ২৩% আসন ক্ষয় হয়েছে বিজেপির। ২০১৪ সালেই এইসব আসন থেকে শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল বিজেপি। তখন জয় এসেছিলো বিজেপির শিবসেনার হাত ধরেই। এবার একা লড়ে এভাবে ভোট কমেছে পদ্মশিবিরের। তবে কতটী কমেছে সে বিষয়ে নিখুঁত হিসাব পাওয়া মুশকিল। তবে জানা যাচ্ছে ভান্ডারা গোন্ডিয়ার কংগ্রেস-এনসিপি জোটের ভোট ২০১৪ সাল থেকে বেড়েছে প্রায় ৮%। একইরকমভাবে কেরলের চেঙ্গান্নুর বিধানসভা আসনে বিজেপির ভোট ২৯.৩% থেকে হ্রাস পেয়ে হয়েছপ ২৩.২%। সেখানে নায়ার সম্প্রদায়ের ভিতর বিজেপির শক্তি থাকলেও পাশার চাল কিছুতেই তাঁদের তরফ করা সম্ভব হল না। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে হওয়া মহেশতলা উপনির্বাচনে আবার তৃণমূল হিংসার ভিতরেও নিজেদের ভোট বাড়াতে সক্ষম বিজেপি। বামেদের টেক্কা দিয়ে স্বগৌরবে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে তাঁরা। একইভাবে উওরপ্রদেশের নূরপুরেও ভোটের শতাংশ অনেকটাই বাড়িয়েছে বিজেপি। গতবার ছিল ৩৯% আর এবারে পেয়েছে ৪৭.২%। তবুও বিরোধীজোটকে পেছনে ফেলে ১ নম্বরে পৌছাতে পারেনি বিজেপি। তবুও ১১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের শতাংশ হিসাব করতে বসলে দেখা যায় বিজেপিই পিছিয়ে আছে। এই নিয়ে গভীর চিন্তায় আছেন মোদীজি,অমিত শাহরা। এই সমস্যা সমাধানের পথ পেতে বৈঠকের পর বৈঠক এবং আলোচনা চলছে দলের অন্দরেই। কারণ সামনেই ২০১৯ এ লোকসভা ভোট। এই অবস্থায় কিছুতেই তাঁরা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাননা। তবে কার্যক্ষেত্রে উঠে এসেছে আরো কিছু তথ্য। পুরানো ভোটারটা সরায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতেই রাজরাজেশ্বরী নগরে ভোটেরদের ভিতর নগধ টাকা বিলির অভিযোগে ভোটার কার্ড উদ্ধার করতে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছিলো প্রায় হাজার দশেক ভোটারের। সেই টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে পরে আবার ভোট হয় সেখানে। ফলাফল আসতেই দেখা যায় বিজেপির ভোট কমে কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে। এরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে লোকসভা ভোটের আগেই তৈরি হতে চাইছেন গেরুয়াপার্টি। তাই অবিলম্বে কোনো ব্যবস্থা নেবেন আবার স্বমহিমায় ফিরতে, এমনটাই আশা করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -