এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ক্ষুব্ধ ও চিন্তিত কেন্দ্র, কড়া পদক্ষেপ নিতে নবান্নকে কড়া নির্দেশ

বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ক্ষুব্ধ ও চিন্তিত কেন্দ্র, কড়া পদক্ষেপ নিতে নবান্নকে কড়া নির্দেশ

কথায় আছে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে রাজ্যে যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ এবং হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছে তা 2011 সালের আগের পরিস্থিতিকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি সন্দেশখালির ন্যাজাটে তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষে সরকারিভাবে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের পক্ষ থেকে জানা গেছে, শনিবারের এই গণ্ডগোলের ঘটনায় বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মন্ডল মারা গেছেন।

অন্যদিকে তৃণমূল কর্মী কায়ুম মন্ডলও খুন হয়েছেন। তবে এখনো পর্যন্ত দেবদাস মন্ডল নামে এক বিজেপি কর্মীকে পাওয়া যায়নি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তৃনমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাল্টা উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এদিন সেই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। আর এরই মাঝে এবার রাজ্যজুড়ে ক্রমবর্ধমান ঘটে চলা বিক্ষিপ্ত অশান্তি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল কেন্দ্র সরকারকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তার মন্ত্রককে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গকে পরামর্শ পাঠান। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যে যে সংঘর্ষ চলছে, তা প্রশমিত করতে না পারা রাজ্যের ব্যর্থতা। এদিকে রাজ্যের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের এই রিপোর্টে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার।

পাল্টা রাজ্যের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিব মলয় দে জবাব দিয়ে জানিয়েছেন, ভোটের পর কিছু বিচ্ছিন্ন হিংসার ঘটনা এই রাজ্যে ঘটলেও তার জন্য সমাজবিরোধীরাই দায়ী। তবে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে যে তারা আদৌ সন্তুষ্ট নয়, তা রবিবারই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে ডেকে পাঠিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

অন্যদিকে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথেও বাংলার রাজ্যপালের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে দলের দুই কর্মীর মৃত্যুতে 12 ঘন্টা বসিরহাটে বনধ ডাকার পাশাপাশি আগামী 12 জুন একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা যে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে, সেই ব্যাপারে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যের কাছে উদ্বিগ্ন চিঠি আসাতেই পরিষ্কার হয়ে গেল। কিন্তু রাজনৈতিক গোয়ার্তুমি ছেড়ে রাজ্যের শান্তি স্থাপনে এখন বিজেপির ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক কী ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!