ভোটের ডিউটিতে ডাক পড়তে চলেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের টেকনোলজিস্টদেরও, স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে বাড়ছে চিন্তা কলকাতা রাজ্য April 2, 2019 এবার স্বাস্থ্য দপ্তরের জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত একাধিক কর্মীদের ভোটের কাজে যুক্ত করায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অনেকেরই কপালে। অভিযোগ, রাজ্যের একাধিক নামী বড় মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক প্রাইমারি হেলথ সেন্টার এবং মেডিকেল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্টদের ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে। আর এই গোটা বিষয়ে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সাথে যুক্ত থাকা কর্তারা। সূত্রের খবর, কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাতজন ইসিজি টেকনোলজিস্টের মধ্যে 5 জনকেই এই ভোটের ডিউটিতে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ব্লাড ব্যাঙ্কিং পরিষেবার সাথে যুক্ত চার জন এবং যাবতীয় রক্ত পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল প্যাথলোজির 20 জন টেকনোলজিস্টের মধ্যে 15 জনকেই ভোটের কাজের জন্য ডাকা হয়েছে। একই অবস্থা বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজেরও। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এখানে এক্সরে টেকনোলজিস্টের 19 জনের মধ্যে 15 জনেরই ভোটের কাজে ডাক পড়েছে। পাশাপাশি 7 জন ইসিজি টেকনোলজিস্টকেও ভোটের কাজের জন্য ডাকা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি কোচবিহার থেকে 27 জন, নদীয়ার 66 জন, দক্ষিণ 24 পরগনার 36 জন, বর্ধমানের 25 জন, উত্তর 24 পরগনার 10 জন এবং বীরভূমের 10 জনকেও ভোটের ডিউটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একাংশের মতে, বড় হাসপাতালের ক্ষেত্রে কিছু কর্মী নিয়ে নিলে অসুবিধা হলেও গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্ষেত্রে এই ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত থাকা গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের যদি ভোটের কাছে নিয়ে নেওয়া হয়, তাহলে তো সেই পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থাই অচল হয়ে পড়বে! এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল পন্থী সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোগ্রেসিভ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক সমিত মন্ডল বলেন, “লোক তুলে নেওয়ায় বহু জায়গায় অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বন্ধ হওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আমরা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছি।” অন্যদিকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডঃ অজয় চক্রবর্তী এবং ডঃ প্রদীপ মিত্র। অন্যদিকে এমন ঘটনা ঘটার কথা নয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসলে নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু। সব মিলিয়ে এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের টেকনোলজিস্টের ভোটের ডিউটিতে ডাক পড়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক মহল। আপনার মতামত জানান -