ভোট গণনার আগেই লজ্জাজনক হার বিজেপির, শুরু অন্তর্তদন্ত জাতীয় বিজেপি রাজনীতি May 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি, তারপরেই শুরু হতে চলেছে রাজ্যের ভোট গণনা। তবে শুধু এই রাজ্য নয়, বাকি আরো চারটি রাজ্যে এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন হয়েছে। এই সবকটির গণনা হবে কাল। স্বাভাবিকভাবেই শুধুমাত্র বাংলাতেই নয়, অন্যান্য রাজ্যেও যেখানে ভোট হয়েছে সেখানেও উত্তেজনা চরমে। কি লেখা হতে চলেছে বিজেপির ভাগ্যে তা নিয়ে জল্পনা সর্বত্র। এর মাঝেই আজ গেরুয়া শিবিরের জন্য দুঃসংবাদ। আজকে দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যের পুর নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেল বিজেপিকে মুখ থুবড়ে পড়তে। স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও এই নিয়ে শুরু হয়েছে কাঁটাছেঁড়া। কর্ণাটকে পুরসভা ও মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের নির্বাচনের ভোট গণনা ছিল আজ। আর সেখানেই দিনের শেষে বিজেপি বড় ধাক্কা খেলো। জয় পেয়েছে কংগ্রেস, যা কংগ্রেস শিবিরকে নতুন করে উজ্জীবিত করল বলে মনে করা হচ্ছে। কর্নাটকের পুরসভা এবং মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের ভোটের দশটি পুরসভার মধ্যে সাতটি দখল করে নিয়েছে কংগ্রেস। একটিমাত্র পুরসভা পেয়েছে শাসক দল বিজেপি। সব মিলিয়ে কংগ্রেস পেয়েছে 119 টি আসন, জেডিএস এবং বিজেপি যৌথভাবে জিতেছে যথাক্রমে 67 ও 56 টি আসন। পাঞ্জাব, হিমাচলের পর এবার কর্নাটকের স্থানীয় নির্বাচনেও বিজেপির লজ্জাজনক হার। প্রসঙ্গত রাজনৈতিক মহলের দাবি, দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে কিন্তু ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি পেছনের দরজা দিয়ে। আর বিজেপির এই কৌশলকে মানুষ সমর্থন করেনি। ফল হাতেনাতে মিলল এবারের নির্বাচনে। অন্যদিকে ভোট গণনা শেষ হওয়া মাত্রই কংগ্রেসের প্রধান শিবকুমার টুইট করে রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি নিজেদের কৃতকর্মের জন্য বিজেপি শাস্তি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে দেশজুড়ে করোনার অতিমারীকে নজরে রেখে জরুরি অবস্থার জন্য বিজয় উৎসব পালন না করার আবেদন রেখেছেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - মানুষের জন্য কাজ করার কথা বলেছেন কর্নাটক কংগ্রেস প্রধান। অন্যদিকে আজকের জয় নিয়ে কর্ণাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, কর্ণাটকের এই ফলাফলে স্পষ্ট রাজ্যের শাসক দল বিজেপি ক্ষমতায় থাকার যোগ্যতা হারিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিজেপি যেভাবে মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে, তার ফল ভোগ করছে বিজেপি। একইসাথে রাজ্য সরকার ভেঙে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে মনে করা হচ্ছে, আগামীকাল পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকের পুর নির্বাচনের ফলাফল কার্যত গেরুয়া শিবিরকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলল। তবে গেরুয়া শিবির এত সহজে ভেঙে পড়তে রাজি নয়। তাদের নজর এখন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের দিকে এবং যে কটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল নিয়ে বিজেপি মরিয়া। এই অবস্থায় আগামীকাল ইভিএম খোলার পর কি হতে চলেছে, সে দিকেই নজর দেশবাসীর। বিজেপিকে মানুষ কাছে টানে না দূরে ঠেলে দেয় সেটাই এখন দেখার। আপনার মতামত জানান -