ভোট গণনার আগেই মাওবাদী পোষ্টার ঘিরে ছড়ালো তীব্র চাঞ্চল্য, তদন্তে প্রশাসন পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য May 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছু বছর আগে ঝাড়গ্রাম অঞ্চলে অর্থাৎ জঙ্গলমহল এলাকায় মাওবাদীদের রমরমা ছিল। কিন্তু 2011 য় তৃণমূল সরকার আসার পর থেকে মাওবাদীদের ভূমিকা অনেকটাই কম দেখা যায় জঙ্গলমহল এলাকায়। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে কিন্তু জঙ্গলমহলের মানুষের ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রতি। ফলস্বরূপ জঙ্গলমহল অধিকার করেছিল বিজেপি। অনেকেই মনে করেন জঙ্গলমহলের মানুষের ক্ষোভের পেছনে মাওবাদীদের হাত থাকা অস্বাভাবিক নয়। আবারও একটি ভোট গেল। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের হাত ধরে কে বসবে রাজ্যের শাসকের স্থানে, তা জানতে আরও কিছু সময় বাকি। কিন্তু ভোট গণনার আগের দিন জঙ্গলমহলে নতুন করে মাওবাদী পোস্টার দেখা গেল এবং সেই পোস্টারে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শনিবার ঝাড়গ্রামে ভীমপুর থানার চাঁদাবিলা ও মাধবপুর গ্রামে বেশ কয়েকটি মাওবাদী পোস্টার দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা সেগুলি দেখে হৈচৈ শুরু করে। এরপর পুলিশ গিয়ে পোস্টারগুলি উদ্ধার করে। তবে জানা গেছে, এবারের পোস্টারগুলি হাতে লেখা নয়। বরং ছাপার অক্ষরে নিজেদের দাবী তুলে ধরেছেন নকশাল নেতারা। ঝাড়খন্ড সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার চাঁদাবিলা, মাধবপুর গ্রামে শনিবার সকাল পাঁচটা নাগাদ গ্রামবাসীরা গ্রামের একাধিক দোকানে, বাড়ির গায়ে মাওবাদী পোষ্টার দেখতে পায়। খুব স্বাভাবিকভাবে এলাকাজুড়ে মাওবাদী পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এরপর পুলিশের কাছে খবর যায় এবং তাঁরা এসে পোস্টারগুলো খুলে নিয়ে যায়। প্রসঙ্গত গত বছর পূজোর সময় থেকেই মাঝে মাঝেই মাওবাদী প্রচার দেখা যাচ্ছে জঙ্গলমহল এলাকায়। কখনো জঙ্গলমহলের উন্নয়নের দাবি নিয়ে, কখনো তৃণমূল নেতাদের শাস্তির দাবি নিয়ে মাওবাদী পোস্টারও দেখা গিয়েছে। তবে ভোটগণনার আগের দিন যে পোস্টার পড়েছে মাওবাদীদের পক্ষ থেকে, সেখানেও একই ভাবে নিজেদের দাবি দেওয়া তুলে ধরেছে মাওবাদী নেতারা। গতবছর পুজোর মুখে জঙ্গলমহলে মাওবাদী প্রতিষ্ঠা সপ্তাহকে সামনে রেখে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে মিলেছিল হুমকি পোস্টার, উদ্ধার হয়েছিল একগুচ্ছ নথি। তবে সূত্রের খবর, মাওবাদীরা বর্তমানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে হাতিয়ার করে তুলছে তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ডিজিটালি প্রচারও শুরু করেছে মাওবাদীরা। এক্ষেত্রে নাচে-গানে এলাকার যুব সম্প্রদায়কে দলে টানার আহ্বান করা হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মাওবাদীরা জনসমর্থন না পেয়ে গত এক দশক ধরে বারংবার ধাক্কা খাচ্ছে। বহুদিন পরে সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম অঞ্চলে তাঁরা একাধিক জায়গায় নিজেদের কর্মসূচি সংক্রান্ত পোস্টার, ব্যানার লাগানো সহ প্রচারপত্র বিতরণের কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে অতীতের মতো তাঁরা কোনমতেই নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করতে পারছে না বলে জানা গেছে। আর তাই মনে করা হচ্ছে রাজ্যে নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে মাওবাদীদের উদ্যোগ সাধারণ মানুষকে কাছে টানা। আর তাই সীমান্ত গ্রামে পোষ্টার মারার কাজ হয়েছে বলে দাবী বিশেষজ্ঞদের। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। অন্যদিকে প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে। কোথা থেকে ছাপানো পোস্টার এল এবং সেগুলিকে কারাই বা রাতের অন্ধকারে পোস্টার মারলো, তা নিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ। আপনার মতামত জানান -