প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলছে শেষ দফার নির্বাচন। আর এই শেষ দফার নির্বাচনের পরেই সকল রাজনৈতিক দলের কাছে অপেক্ষা এবং আকাঙ্ক্ষার দিন আগামী 2 মে। যেদিন খোলা হবে গণনার বাক্স। নবান্ন কারা দখল করবে, তা পরিষ্কার হয়ে যাবে আগামী 2 তারিখ। সকলের কাছে এখন কৌতূহলের মাত্রা চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে বেশকিছু নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে লাগবে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট। আর এই পরিস্থিতিতে গননার আগের দিন তৃণমূলের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী এবং এজেন্টদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই গননার আগের দিন তার এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দেখতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, আগামী পয়লা মে শনিবার কালীঘাটের নিজের বাড়িতে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী এবং গণনা কেন্দ্রের এজেন্টের। মূলত গণনার আগে প্রার্থী এবং এজেন্টদের সমস্ত বিষয় নির্দেশ দেবেন তৃণমূল নেত্রী বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গণনা কেন্দ্রে বিজেপি প্রথম দফায় এগিয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেটা দেখে যাতে কেউ গণনাকেন্দ্র ত্যাগ না করেন, তার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের বার্তা দিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে। আর এই পরিস্থিতিতে গণনার আগের দিন সকলকে ভরসা জোগাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠক করতে চলেছেন বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের নির্বাচন তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের নির্বাচন। বাংলার ক্ষমতা দখল করতে রীতিমত উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তারা ইতিমধ্যেই নির্ধারিত আসন সংখ্যা পেয়ে গেছে। আর এই পরিস্থিতিতে গণনা পর্বের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে বৈঠক ডাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল নেত্রী অত্যন্ত ভয় পেয়েছেন। তাই শেষ লড়াইয়ের আগে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিতে উদ্যত তিনি। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। রাজ্যে এবার পরিবর্তন নিশ্চিত। সব মিলিয়ে গণনার আগের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে কি বার্তা উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।