এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোটে জিততে জেলা চষে বেড়াচ্ছেন সভাপতি! ব্রাত্য থাকছেন দলীয় বিধায়করাই! অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে?

ভোটে জিততে জেলা চষে বেড়াচ্ছেন সভাপতি! ব্রাত্য থাকছেন দলীয় বিধায়করাই! অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শাসক দল তথা তৃণমূল শিবির এই মুহূর্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথেই তৃণমূল শিবিরের ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। একের পর এক তৃণমূলের ছোট, বড় নেতা ইতিমধ্যেই দূরে সরে গিয়েছেন। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রী দলত্যাগ করেছেন। অতি সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী তার অন্যতম উদাহরণ। কিন্তু তৃণমূল শিবির যে এত কিছুর পরেও শিক্ষা নেয়নি, সে কথা পরিষ্কার নদীয়া জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রর কার্যকলাপে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল শিবিরের অস্বস্তিও কিন্তু চরমে।

নদীয়া জেলার দক্ষিণাংশে তৃণমূল জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রর কর্মকাণ্ড ঘিরে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব কমানোর বদলে তিনি দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছেন। ইতিমধ্যে নদীয়া জেলা সভাপতিকে নিয়ে ক্ষোভ চরমে উঠেছে জেলার দক্ষিণাংশের বিধায়কদের মনে। ইতিমধ্যেই দলের প্রবীণ নেতা তথা রানাঘাট উত্তর পশ্চিম এর বিধায়ক শংকর সিংহ স্পষ্টভাষায় জানিয়েছেন, জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র কোথায় কী কর্মসূচি নিচ্ছেন, তা তিনি জানেন না। অন্যদিকে রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক সমীর পোদ্দার জানিয়েছেন, জেলা সভাপতি নিজের মতন করেই কর্মসূচির আয়োজন করছেন। এরপরেই তিনি নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করে বলে, হয়তো এতে ভালো হবে দলের।

তবে চাকদার বিধায়ক তথা মন্ত্রী রত্না ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি প্রতিটা কর্মসূচির কথা জানতেন এবং উপস্থিত ছিলেন প্রতিটাতেই। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকালে দেখা যাবে নদীয়া জেলার দক্ষিণাংশে কিন্তু গেরুয়া শিবিরের ব্যাপক উত্থান হয়েছিল। আর এই দক্ষিণাংশে যেভাবে তৃণমূল নেতৃত্ব এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন, তাতে আগামী দিনে কিন্তু গেরুয়া শিবিরের হাত শক্ত করছেন বলে মনে ঙ্করছেন তৃণমূলের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা না করেই তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মীসভা করছেন। এতে কর্মীদের মনোভাব ক্রমশ তলানীতে বলেই তৃণমূল শিবিরের একটা বড় অংশের দাবি। উল্লেখ্য সম্প্রতি নদিয়া জেলা নেতৃত্ব কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদের সভা কক্ষে জেলা কমিটির সদস্য ও বিধায়কদের নিয়ে একটি মিটিং ডেকেছিলেন। কিন্তু সেখানেও দলের প্রবীণ নেতাদের দেখা যায়নি। তারা অনেকেই জানিয়েছেন, এলাকার বিধায়কদের যেভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে কর্মী বৈঠকে, তারপর জেলা নেতৃত্তের বৈঠকে যাওয়ার আর কোনো প্রশ্নই ওঠেনা।

এ প্রসঙ্গে রানাঘাটের তৃণমূলের এক প্রবীণ সদস্য জানিয়েছেন, ভোটের ময়দানে কিন্তু এভাবে বিধায়কদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর ফলে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণী কুমার রায় জানিয়েছেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। সবমিলিয়ে নদীয়া জেলার সভাপতি মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে কিন্তু ক্রমশ ক্ষোভ জমছে তৃণমূলের অন্দরেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই যদি পরিস্থিতি না বদলানো যায় তাহলে কিন্তু তৃণমূল শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রবল আকার ধারণ করবে। যার ফলস্বরূপ তৃণমূল শিবিরের চওড়া ফাটল দিয়ে গেরুয়া শিবিরের অনুপ্রবেশ ঘটবে।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!