এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ভোট মিটতেই কাটছাঁট মিড ডে মিলে, সরব শিক্ষক সংগঠন

ভোট মিটতেই কাটছাঁট মিড ডে মিলে, সরব শিক্ষক সংগঠন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বছরের শুরুতে, ভোটের আগে মিড ডে মিলে একাধিক নতুন খাদ্য সামগ্রী যোগ করা হয়েছিল। কিন্তু ভোট মিটে যাবার পরেই মিড ডে মিলে কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। গতকাল স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, এখন থেকে মিড ডে মিলে ছোলা দেওয়া বন্ধ করা হবে। সেই সঙ্গে চিনি ও সোয়াবিনের পরিমাণও কমিয়ে দেয়া হবে। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিলের প্যাকেটে ডাল, সোয়াবিন, চিনি, ছোলা দেওয়া শুরু হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমনের কারণে দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধ থাকলেও, মিড ডে মিল বন্ধ রাখা হয়নি। প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের হাতে মিড ডে মিলের প্যাকেট তুলে দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত মিড ডে মিল এর প্যাকেটের সঙ্গে দেয়া হয় এক কিলো করে ছোলা, ৫০০ গ্রাম চিনি, আড়াইশো গ্রাম ডাল, ২০০ গ্রাম সোয়াবিন। এবার থেকে যা কমিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।

গতকাল স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এখন থেকে মিড ডে মিলে চাল, ডাল, আলু, সাবান দেওয়া হবে। কিন্তু চিনির পরিমাণ ৫০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে আড়াইশো গ্রাম করা হবে। সোয়াবিনের পরিমাণ করা হবে ১০০ গ্রাম। সেইসঙ্গে ছোলা বন্ধ করে দেয়া হবে। গতকাল সমস্ত জেলার জেলাশাসক, জিটিএ, শিলিগুড়ি মহকুমা শাসক, কলকাতা পুরসভাকে এই বিষয়টি জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। পরবর্তী মিড ডে মিল দেয়া হবে ৭ ই জুন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মিড ডে মিলে কাটছাঁটের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের একাধিক শিক্ষক সংগঠন। অভিযোগ করা হয়েছে ভোটের পূর্বে মানুষের মন জয় করতে মিড ডে মিলে একাধিক নতুন সামগ্রী যোগ করা হয়েছিল। ভোট মিটে যাবার পর স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত অনৈতিক বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। ইতিপূর্বে এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ট্যাব বিতরনেরও অনেকে বিরোধিতা করেছিলেন। সে সময় সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্প থেকে অর্থ নিয়ে তা পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের একাউন্টে।

এভাবে একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা অন্য খাতে খরচ করায় , অনেকেই সরব হয়েছিলেন। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে রাজ্যও অংশীদার। এই রাজ্য অন্য প্রকল্পে এর টাকা খরচ করার অধিকারী। ভোটের আগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ট্যাব বিতরণ, মিড ডে মিলে নতুন সামগ্রী যোগ করা। আর ভোট মিটে গেলে মিড ডে মিলে কাটছাঁট করা নিয়ে বহু শিক্ষক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকে অভিযোগ করেছেন, ভোটে ফায়দা তুলতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!