ভোট না দেওয়ায় শাসকদলের কোপের মুখে সাধারণ মানুষ, বাড়ছে ক্ষোভ – শেষ রক্ষা হবে তো দাবি বিজেপির কলকাতা রাজ্য May 26, 2019 নির্বাচনে হার-জিত থাকবেই। কিন্তু যে সাধারণ মানুষের ভোটে জয়লাভ করে রাজনৈতিক নেতারা, সেই সাধারণ মানুষই যদি সেই নেতাদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বিরোধী দলকে ভোটে দিয়ে দেন, আর সেই নেতারাই যদি নিজেদের অহংবোধের পরিচয় দিয়ে এলাকায় উন্নয়নে বাধা দেয়, তাহলে জনতা জনার্দন শাসকবর্গের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আর এবার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর ভালো ফল না হওয়ার জন্য পাকা রাস্তা তৈরি করেও সেখান থেকে ইট তুলে নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় এখন প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দত্তপুকুর থানার কদম্বগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের হেমন্ত বসুনগর 1 মাঠপাড়া এলাকায়। জানা গেছে, এই এলাকাটি বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের লোকসভা কেন্দ্রের 54 নম্বর বুথের কাছে। এখানে এবার লোকসভা ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, তৃণমূল খুব একটা ভালো ফল করেনি। আর এলাকায় এত উন্নয়ন হওয়া সত্ত্বেও কেন তৃণমূল প্রার্থী এলাকায় ভোট পেলেন না, তা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার পাকা রাস্তা থেকে ইট তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, শুক্রবার সকালে এলাকার মানুষ দেখতে পান যে তাদের রাস্তায় ইট না থাকায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে চলাচলে তৈরি হয় ব্যাপক সমস্যা। কিন্তু সাধারণ মানুষ যেখানে তৃণমূলকে একসময় ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিল, সেখানে সেই তৃণমূলের নেতারা নিজেদের কুকীর্তির জেরে যদি কম ভোট পান তাহলে সাধারণ মানুষের প্রতি তারা আঘাত হানবেন কেন! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই এলাকায় উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ জবাব শোনা গেছে কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা সুনীল মণ্ডলের গলায়। তিনি বলেন, “এই এলাকায় পঞ্চায়েত 38 লক্ষ টাকার উন্নয়ন করেছে। এলাকায় প্রচুর উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দিয়েছি। তার পরেও যারা আমার বুথে বিজেপিকে ভোট দেন, তাদের কি আমরা মিহিদানা, পোলাও খাওয়াবো! ওই রাস্তায় আর ইট পড়বে না।” আর এলাকায় একটিমাত্র ইটের রাস্তা থাকায় সেই রাস্তা থেকেও ইট তুলে নেওয়ায় এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এলাকাবাসীরা। সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন, নির্বাচনের মাটিতে দাঁড়িয়ে জয়-পরাজয় থাকবে। কিন্তু তাই বলে সাধারণ মানুষের মুখ থেকে উন্নয়নের গ্রাস কেড়ে নিয়ে তাদেরকে বিপদে ফেলা কখনোই একটি শাসকের আচরণ হতে পারে না। আর দলের নেতারাই যদি এই আচরণ করতে থাকে, তাহলে অতীতের বাম সরকার যেভাবে অন্ধকারের পথে তলিয়ে গিয়েছিল, ঠিক একই দশা হতে পারে তৃণমূলের বলে দাবি বিরোধীদের। অন্যদিকে,বোলপুরের কঙ্কালিতলার একটি গ্রামে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য টিউবওয়েলের হাতল খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের কঙ্কালিতলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতারাতি নাকি ১০টি টিউবওয়েলের হাতল খুলে নিয়েছে তৃণমূল। ফলে চরম জলসঙ্কটে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। কঙ্কালিতলা পঞ্চায়েতে এই টিউবওয়েলগুলিই পানীয় জলের জন্য একমাত্র ভরসা গ্রামবাসীদের। এই পঞ্চায়েত রয়েছে তৃণমূলেরই অধীনে। সেই কারণেই বিজেপি লিড নেওয়ায় তৃণমূল এই করেছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। জল না পেয়ে করুণ অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন গ্রামবাসীরা। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি।আর এইসবের ফলে ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যের মানুষের। বিজেপির দাবি এর ফলে তৃণমূল আস্তে আস্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। আপনার মতামত জানান -