এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৈরি ভোটের নীল-নকশা! উত্তরের হারানো জমি কিভাবে পুনরুদ্ধার, বাতলে দিলেন হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রী

তৈরি ভোটের নীল-নকশা! উত্তরের হারানো জমি কিভাবে পুনরুদ্ধার, বাতলে দিলেন হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের অবস্থা শোচনীয় হয়েছিল। আটটি আসনের মধ্যে 7 টি আসন দখল করে নিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। একটি আসন গিয়েছিল কংগ্রেসের দখলে। ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তরবঙ্গে থাবা বসানোর কোনো সুযোগ ছিল না। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। উত্তরবঙ্গে প্রচুর বিধানসভা আসন রয়েছে। তাই সেই সমস্ত আসন দখল করলে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরতে তৃণমূলের কোনো অসুবিধা হবে না। তাই লোকসভায় যে পরাজয় উত্তরবঙ্গে হয়েছে, তা থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে এবার দলকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে তৃণমূলের কর্মী সভায় উপস্থিত হন দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। যেখানে সংগঠনকে কিভাবে চাঙ্গা করতে হবে এবং কিভাবে নেতাকর্মীরা দলের স্বপক্ষে প্রচার করবেন, তার ব্যাপারে রণকৌশন তৈরি করে দেন তিনি। জানা যায়, এদিন দুপুরে মৈনাক টুরিস্ট কনফারেন্স হলে পাহাড় এবং সমতলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে দুটি কর্মীসভা করেন অরূপ বিশ্বাস। যেখানে বুথস্তরের কর্মী-সমর্থকদের আগামী ভোটের জন্য কিভাবে তৈরি হতে হবে, তার বার্তা দেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ভোট গ্রহণের দিন প্রতিটি বুথে অন্তত 10 থেকে 12 জন কর্মী দরকার। তাই এখন থেকেই যাতে সেই বুথস্তরের সংগঠনকে চাঙ্গা করার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়, তার জন্য বার্তা দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক। প্রয়োজনে কোন বুথে কারা সক্রিয় কর্মী হয়ে সমস্ত দায়িত্ব সামাল দেবেন, তার তালিকাও নিজের কাছে জমা দিতে বলেছেন অরূপবাবু। এছাড়াও দলের সমস্ত শাখা সংগঠনকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে অরুপ বিশ্বাস বলেন, “শিলিগুড়িতে দলের সংগঠন ঠিক রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেতাকর্মীদের দলীয় কাজকর্ম চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে পর্যটন মন্ত্রী এবং গৌতম দেব ও দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার করোনা পরিস্থিতিতে 24 ঘন্টা মানুষের সাথে আছে। কিন্তু তিন মাস ধরে বিজেপি নেতাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে বসে তারা বড় বড় কথা বলছেন। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জীবন বাজি রেখে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সহযোগিতা করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সমাজকর্মী হিসেবে সমস্ত নেতাকর্মীদের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে বলেছি।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অরূপবাবু মুখে যাই বলুন না কেন, গত লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে যত সময় গেছে, তত উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের অস্তিত্ব ক্ষুণ্ন হতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতাদের গেরুয়া শিবিরে যোগদান তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনে যাতে ভালো করা যায়, তার জন্য এখন বুথের সংগঠনের ওপর জোর দিয়ে শিলিগুড়ির সাংগঠনিক পরিস্থিতিকে আরও চাঙ্গা করার বার্তা দিলেন অরূপ বিশ্বাস। কিন্তু বিজেপির প্রভাবকে মুক্ত করে জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রীর এই বার্তা কতটা সুচারুভাবে পালন করতে পারেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!