এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোট পরবর্তী হিংসার একের পর এক অভিযোগ তিন মেদিনীপুরকে নিয়ে, প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও

ভোট পরবর্তী হিংসার একের পর এক অভিযোগ তিন মেদিনীপুরকে নিয়ে, প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসার হাইকোর্টের নির্দেশে ৫০ পাতার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্টে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে। রাজ্যে মোট ১৯৭৯ টি অভিযোগ এসেছে মানবাধিকার কমিশনের কাছে। রাজ্যের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ২ রা মে থেকে শুরু করে ২০ সে জুনের মধ্যে রাজ্যের থানা গুলিতে মোট ১৯৩৪ টি অভিযোগ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে এফআইআর করা হয়েছে ১৩৪৫ টি। মোট অভিযুক্তের সংখ্যা হলো ৯৩০৪। গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র ১৩৪৫ জনকে। গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মধ্যে ১০৮৬ জনকে জামিন দেয়া হয়েছে। মাত্র ৩% অভিযুক্তকে জেলে রাখা হয়েছে।

মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে জানানো হয়েছে তিন মেদিনীপুরে প্রচুর অভিযোগ দায়ের করা হলেও, বহু ক্ষেত্রে এফআইআর করা হয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুল দেশাই এসেছিলেন। একাধিক অভিযোগকারীর সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাদের বয়ান নিয়েছিলেন তিনি। এই সময় এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন তাঁর কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, অত্যাচারের কথা জানাতে তিনি থানায় গিয়েছিলেন, কিন্তু থানার আইসি তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, তাদের কাছে কেন এসেছেন তিনি? কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে যাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁকে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছে রিপোর্টে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে জানানো হয়েছে,৩১১ টি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলেন তাঁরা, যাদের মধ্যে ১৮৮ টির ক্ষেত্রে এফআইআর নেয়া হয়নি। মোট ৪২৫ জন অভিযোগকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাঁরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর, খড়গপুর, ডেবরা থানা এলাকায় গিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৫৫ টি অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ২৭ টি অভিযোগ, ঝাড়গাম থেকে ৮ টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোট ৯০ টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই তিন মেদিনীপুরের বেশকিছু আইসি, ওসির বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। এজন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় মানবাধিকার কমিশন পুলিশের সাহায্য নেয় নি। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নেয়া হয়েছিল। আবার, অভিযোগকারীদের নিরাপত্তা নিয়েও রিপোর্টে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় জানালেন যে, তৃণমূলের হাতে যারা অত্যাচারিত হয়েছেন, তাঁরাই কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছেন। যা থেকে স্পষ্ট, কমিশনের দল যে সমস্ত জায়গায় গিয়েছিল,সেখানে আইন-শৃংখলার কোন চিহ্ন দেখা যায়নি। অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা খুন হলে তার কিনারা করতে রাজ্য সরকার দ্রুত পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করে। কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রায় ৫০ জন বিজেপি কর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু খেলায় মগ্ন রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই রক্তবন্যাতে আনন্দিত হয়ে তিনি সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তাদের পরিবারের বুকফাটা কান্নায় কর্ণপাত করেননি তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!