এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোট-পরবর্তী হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের জালে দুই সন্দেহভাজন, শোরগোল রাজনীতি মহলে

ভোট-পরবর্তী হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের জালে দুই সন্দেহভাজন, শোরগোল রাজনীতি মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে বারবার ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে বিরোধী দল মূলত বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির অভিযোগ বেছে বেছে তাদের কর্মীদের ওপর হামলা, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চলছে। নেতারাও অনেক সময় রেহাই পাচ্ছেন না, এমনকি রেহাই মিলছে না মহিলাদেরও। প্রাণ বাঁচাতে ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। যদিও শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু গত ২ রা মে ভোটের ফল প্রকাশের রাতেই নারকেলডাঙ্গার এক বিজেপি নেতাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক হত্যা’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এবার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নারকেলডাঙ্গায় বিজেপির ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ছিলেন অভিজিৎ সরকার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৩০ বছর। নারকেলডাঙ্গার শীতলতলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। জানা যায়, ভোটের ফল প্রকাশের রাতে বাড়ি থেকে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। মারতে মারতে রেল লাইনের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখানে লাঠি দিয়ে তাঁর হাত-পা-মাথায় প্রচন্ড জোরে আঘাত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর মৃত্যুকে রাজনৈতিক হত্যা’ বলে অভিযোগ করা হলেও পুলিশ সূত্রের দাবি, নারকেলডাঙ্গাতে স্থানীয় এক সমস্যা থেকে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র গোলমাল চলছিল, সেকারণে এই হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে। তবে, এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ আছে কিনা? তার সন্ধান করছে পুলিশ। তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে যে, লাঠি জাতীয় কোন বস্তু দিয়ে তাঁর মাথায় একাধিকবার আঘাত করা হয়েছিল। ব্যাপক আঘাতের ফলে প্রচুর রক্তপাত হয়ে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে।

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই সঞ্জয় সামন্ত ও সমীর সামন্ত নামে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর দুই সন্দেহভাজন সঞ্জয় বসাক ও সুফল বসু দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপন করেছিলেন। জানা যায়, হুগলির হিন্দমোটর এলাকায় এই দুই সন্দেহভাজন আত্মগোপন করেন।

এরপর গোপন সূত্রে দুই সন্দেহভাজনের খবর পেয়ে হুগলির হিন্দমোটরের দেবীপুকুর রোডের ধারে লালবাজারের গোয়েন্দারা অভিযান চালান। এ সময় এই দুই সন্দেহভাজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারের পর গতকাল তাদের তোলা হয়েছিল শিয়ালদহ আদালতে। দুই সন্দেহভাজনকে আগামী ১৭ ই জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!