এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা থেকে বাদ উত্তরের এই জেলা, কিভাবে তৈরি কমিশনের রিপোর্ট? জেনে নিন

ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা থেকে বাদ উত্তরের এই জেলা, কিভাবে তৈরি কমিশনের রিপোর্ট? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই হিংসার ঘটনা রাজ্যে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি এই ব্যাপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আর সেই রিপোর্টে মাথাব্যথা তৈরি হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলা থেকেই হিংসার ঘটনার খবর পেয়ে আক্রান্তের সংখ্যা তুলে ধরে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন এলাকা ধরে ধরে কোথায় কিরকম হিংসার ঘটনা ঘটেছে এবং সেখানে কাদের প্ররোচনায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেই কথাই তুলে ধরা হয়েছে সেই রিপোর্টে।

স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট এখন মোকাবিলা করাই শাসকদল বা রাজ্য প্রশাসনের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে গোটা রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে এইরকম রিপোর্ট আসলেও, সেদিক থেকে ব্রাত্য রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলা কালিম্পং। মূলত, গোটা রাজ্যের মধ্যে একমাত্র এই জেলা থেকে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে কোনো হিংসার কথা উল্লেখ হয়নি।

সূত্রের খবর, মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় 1979 অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়েছে। যা শাসকদলের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের দলের অনেক নেতা এবং দাপুটে জনপ্রতিনিধিদের নামও সেই রিপোর্টে উল্লেখ হয়েছে। সেদিক থেকে উত্তর 24 পরগনা থেকে শুরু করে কোচবিহার, বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের অনেক নেতা এবং জনপ্রতিনিধি এই হিংসার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত বলে নিজেদের রিপোর্টে তুলে ধরেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ার পর থেকেই তৃনমূল গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ বলে দাবি করতে শুরু করেছে। ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য, আসলে রাজ্য প্রশাসনকে কলঙ্কিত করতেই বিজেপি এই ধরনের পরিকল্পনা শুরু করেছে। যদিও বা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে কিভাবে একটি রাজনৈতিক দলকে এক করা যায়, তা নিয়ে পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। সেদিক থেকে ঘাসফুল শিবির চাপে পড়েই যে এই ধরনের উক্তি করতে শুরু করেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধী দল থেকে শুরু করে সমালোচক মহলের কাছে সবথেকে বড় হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছিল ফলাফল পরবর্তী হিংসার ঘটনা। যেখানে রাজ্য প্রশাসন এই হিংসার ঘটনাকে মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে সত্য এবং যুক্তিসম্মত বলতে নারাজ ছিল ঘাসফুল শিবির। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মানবাধিকার কমিশন ঘটনাস্থলে গিয়ে শুধুমাত্র বিজেপির নেতা-নেত্রীদের কথা শুনেছে। আর সেই কথা শুনে তারা নিজেদের মতো করে রিপোর্ট তৈরি করে সেখানে তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে। যা দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস‌।

তবে বাস্তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখা গিয়েছে, মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে যে সমস্ত জায়গায় হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে গিয়ে বাস্তব তথ্য জানার চেষ্টা করা হয়েছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই কালিম্পং বাদে রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকেই হিংসার কথা তুলে ধরে সেই রিপোর্ট জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে পেশ করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। স্বাভাবিকভাবেই এখন কলকাতা হাইকোর্ট এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে কি নির্দেশ দেয়, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয়। তবে সরকার বা শাসক দলের উপর যে চাপ ক্রমশ বাড়ছে এবং তার কারণেই যে তৃণমূলের পক্ষ থেকে লাগাতার কমিশনের রিপোর্টে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!