এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় বড়সড় স্বস্তি মমতার, চাপে প্রশাসন! জেনে নিন

ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় বড়সড় স্বস্তি মমতার, চাপে প্রশাসন! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই হিংসার ঘটনা ক্রমাগত ঘটেই চলেছে রাজ্যে। যে ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারকে বারবার সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। পাশাপাশি রাজ্যের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যদিও বা সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সেই হিংসার ঘটনার অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে হিংসার ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। যেখানে মানবাধিকার কমিশনকে ঠিকমতো কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে রাজ্য যেন তাদের সাহায্য করে, এই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল।

সেই মত করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ক্যাম্প গঠন করে আক্রান্ত মানুষজনের কথা শুনেছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলায় ভোট-পরবর্তী হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে তদন্ত করানোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হল আরও একটি মামলা। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের ওপর চাপ যে আরও বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই মামলাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে তাকে পক্ষ করার চেষ্টা হলেও, আদালতের পক্ষ থেকে তাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য প্রশাসনের চাপ বাড়লেও, ব্যক্তিগতভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গোটা ঘটনায় যে স্বস্তিতেই রয়েছেন, তা বলাই যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই ব্যাপারে একটি দাবি জানিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষের ওপর আক্রমণ নেমে এসেছে। কিন্তু পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।” তাই এই পরিস্থিতিতে আদালতের নির্দেশে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করানো হোক বলে দাবি করা হয়েছে। আর এরপরেই এই গোটা ঘটনায় নির্বাচন কমিশন, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে একটি নোটিশ জারি করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। তবে পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যাতে এর অংশীদার করা যায়, তার জন্য মামলাকারী পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতে সায় দেয়নি আদালত।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে, রাজ্যে সরকার বলে কিছু নেই। সবটাই একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বেসর্বা বলেই বোঝানোর চেষ্টা করেছে বিরোধীরা। সেদিক থেকে হিংসার ঘটনা ঘটার পর সরাসরি প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহল থেকে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে বলেও পরোক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি।

আর এই পরিস্থিতিতে একের পর এক মামলাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো জেরবার হয়ে উঠেছিল রাজ্য প্রশাসন। তবে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হতে না হতেই রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়লেও বড়সড় স্বস্তি পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে তাকে মামলায় অংশীদার করার চেষ্টা হলেও, আদালতের সায় না থাকার কারণে শীর্ষ আদালতের মামলার মধ্যে থাকতে হল না মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে রাজ্য সরকারের কাছে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বক্তব্য চাওয়া হয়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই ব্যাপারে রাজ্য প্রশাসন কি জবাব দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!