এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভোট পরবর্তী হিংসার জলন্ত প্রমান বিজেপি সাংসদের, ব্যাপক চাপে তৃণমূল!

ভোট পরবর্তী হিংসার জলন্ত প্রমান বিজেপি সাংসদের, ব্যাপক চাপে তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে হিংসার আবহ তৈরি হয়েছে বলে সরব হতে দেখা যেত ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বারবার এই বিষয়কে হাতিয়ার করে রাজ্যপালের কাছে যেতে দেখা গেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। পাশাপাশি হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার।

যদিও বা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিজেপি এবং রাজ্যপালের পক্ষ থেকে যে হিংসার অভিযোগ করা হচ্ছে, তাকে সম্পূর্ণরূপে খন্ডন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এবার রাজ্যজুড়ে যে হিংসার বাতাবরণে তৈরি হয়েছে, তার জ্বলন্ত প্রমাণ সামনে এনেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। যেখানে তার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে তার বাড়িতে বিজেপির অনেক জেলা পরিষদের সদস্যদের আত্মীয় থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবি করতে দেখা গেল হেভিওয়েট এই বিজেপি সাংসদকে।

স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে হিংসার অভিযোগ খণ্ডন করা হলেও, বিজেপি সাংসদ যেভাবে তা জনসমক্ষে নিয়ে এলেন, তাতে যথেষ্ট চাপে পড়ে গেল ঘাসফুল শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়জন পঞ্চায়েত সদস্য এবং একজন জেলা পরিষদের সদস্যের স্ত্রী, সন্তান সহ বেশ কিছু বিজেপির নেতা কর্মী বিজেপি সাংসদ জন বারলার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হিংসার ঘটনা কারণেই তারা বিজেপি সংসদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর। আর সেই বিষয়টি তুলে ধরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। এদিন এই প্রসঙ্গে জণ বারলা বলেন, “দেখুন কি ধরনের নির্যাতন চলছে! আমি আগেই বলেছি, উত্তরবঙ্গের উন্নয়নে কোনো নজর নেই। শুধু বেছে বেছে আমাদের দলের নেতা, কর্মী নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অত্যাচার করা হচ্ছে। আমি বুধবার এদের নিয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হচ্ছি। রাজ্যপালের অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। অনুমতি পেলে এই সব পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যাব।”

যদিও বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজেপি সাংসদের এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে। তবে প্রশাসন এই বিষয়টি অস্বীকার করলেও, যেভাবে হাতেনাতে গোটা বিষয়টি তুলে ধরতে দেখা গেল, তাতে রাজ্যজুড়ে যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে এবং বিরোধীরা এই বিষয়ে যে অভিযোগ করছে, তাতে কার্যত সীলমোহর পড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বহু চেষ্টা করেও, এবার বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। কোনোরকমে 77 টি আসন পেয়ে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই তৃনমূল রাজ্যের ক্ষমতা দখল করে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ ছিল গেরুয়া শিবিরের।

এমনকি বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা ঘরছাড়া হতে শুরু করেছিলেন। তবে শাসক দলের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগকে কোনো সময় মান্যতা দেওয়া হয়নি। কিন্তু এবার হাতেনাতে তার প্রমাণ দিয়ে সন্ত্রাসের কারণে তার বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া বিজেপি নেতা-কর্মীদের কথা তুলে ধরে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ। যার ফলে তৃণমূলের চাপ দ্বিগুণ ভাবে বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!