এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য, আদালতের চাপের মুখে রাজ্য!

ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য, আদালতের চাপের মুখে রাজ্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই হিংসার ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি। পরবর্তীতে গোটা বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় গেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা করা হয় আদালতে। যে রিপোর্টে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি রাজ্যে যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে, সেই ব্যাপারে নিজেদের অভিমত স্পষ্ট করে কমিশন।যদিও বা রাজ্যের পক্ষ থেকে সেই যুক্তি মানা হয়নি।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার ফের ভোট পরবর্তী হিংসার তথ্য দেওয়া নিয়ে বড়সড় অস্বস্তিতে পড়ল রাজ্য সরকার। যেখানে পুলিশের দেওয়া রিপোর্টের সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের কোনো মিল নেই বলে জানিয়ে দিলেন মামলাকারীদের আইনজীবী। স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে রাজ্যের বিড়ম্বনা আরও বৃদ্ধি পেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন পুলিশের রিপোর্টের সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের তুলনা করেন আইনজীবী মহেশ জেঠমলানি। যেখানে তিনি বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসায় পুলিশ বলছে রাজ্যে কোনো ধর্ষণ হয়নি। কেবল শ্লীলতাহানির কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে। আর কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে 14 টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের হিসেব অনুযায়ী হিংসায় খুন হয়েছেন 29 জন। কমিশন বলছে, খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে 52 টি।” অর্থাৎ পুলিশ যে প্রকৃত তথ্য এড়িয়ে যাচ্ছে, সেই কথা নিজের যুক্তির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেন মামলাকারীদের আইনজীবী। যদিও বা এই যুক্তিকে মানতে নারাজ রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। যাকে কেন্দ্র করে  রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে আদালত চত্বর।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এমনিতেই রাজ্যের প্রশাসন সম্পর্কে এবং তাদের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে নানা মহলের অভিযোগ রয়েছে আর ভোট পরবর্তী হিংসার পর সেই অভিযোগ আরো বাড়তে শুরু করেছিল। পরবর্তীতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে যায় রাজ্য প্রশাসন। যেখানে ভোট পরবর্তী হিংসা যে হয়েছে এবং তার ফলে যে প্রচুর মানুষের প্রাণ গিয়েছে, সেই কথা নিজেদের রিপোর্টে তুলে ধরে কমিশন। প্রথম থেকেই সেই রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্যের শাসক দল। আর এবার সেই রিপোর্টে সঙ্গে যে পুলিশ প্রশাসনের রিপোর্টের যথেষ্ট অমিল রয়েছে, সেই কথা তুলে ধরে রাজ্য প্রশাসনের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন মামলাকারীদের আইনজীবী মহেশ জেঠমলানি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!