এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোট-পরবর্তী হিংসায় আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, হাইকোর্টে মমতা সরকারের চাপ বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা!

ভোট-পরবর্তী হিংসায় আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, হাইকোর্টে মমতা সরকারের চাপ বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। যাকে হাতিয়ার করে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে শুরু করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার, বিভিন্ন সংস্থার দরবারে গিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে যাতে হিংসার ঘটনা কমানো যায়, তার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে গোটা বিষয়টি হাইকোর্টের দরজায় পৌঁছে যাওয়ার কারণে এই বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দায়িত্ব দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

আর তারপরেই অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করে রাজ্য সরকারের। ইতিমধ্যেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যে ক্যাম্প গঠন করে হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অভিযোগ শোনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অভিযোগ শোনার পর আজ এই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে নিজেদের রিপোর্ট পেশ করতে পারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই সেই রিপোর্টে কি আছে এবং তার ফলে রাজ্য সরকারের চাপ কতটা বাড়ে, তা নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে।

বস্তুত, গত দুইদিন ধরে রাজ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে ক্যাম্প গঠন করে আক্রান্ত মানুষদের সমস্ত অভাব-অভিযোগ শোনা হয়েছিল। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আজ রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল, তার শুনানি রয়েছে। আর সেই শুনানিতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের আক্রান্ত মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনে যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, সেই রিপোর্ট আদালতের দরজায় পৌঁছে দিতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে যদি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কোনো দিক উঠে আসে, তাহলে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রাজ্যের হিংসার ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সরকারকে ভৎসনা করা হতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা এর আগে যখন হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি হতে শুরু করেছিল, তখন কেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে না, তা নিয়ে রাজ্যের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। যার জেরে অনেকটাই চাপে পড়ে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর এই পরিস্থিতিতে আজ বুধবার জনস্বার্থ মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার শুনানির পর্বে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট পেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।

একাংশের মতে, ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে না হতেই বিভিন্ন জায়গায় তাদের নেতা-কর্মীরা ঘরছাড়া হতে শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এক্ষেত্রে বেছে বেছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে বলে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। অবশেষে রাজ্যে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর যে সমস্ত মানুষরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

ইতিমধ্যেই তারা এই ব্যাপারে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে বলে খবর। আর সেই রিপোর্টটিই এখন সবথেকে বড় নজরকাড়া বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। আজ হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে শুনানি রয়েছে। কিন্তু তার মাঝেই গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে হিংসার রিপোর্ট আদালতে পেশ করা হলে তা সরকারের কাছে স্বস্তির, নাকি অস্বস্তির হয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!