এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রভাব একশো দিনের কাজেও, আক্রান্ত হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা!

ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রভাব একশো দিনের কাজেও, আক্রান্ত হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের হিংসা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রতি মুহূর্তে বেছে বেছে তাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও বা শাসকদলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে কোনো সময় স্বীকার করা হয়নি।

তবে প্রতি মুহূর্তে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূলের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে নির্বাচন এবং তার ফলাফলের দিন পেরিয়ে গিয়ে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি সামলানোর দিকে নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে এবার সেই ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রভাব পড়তে দেখা গেল 100 দিনের কাজেও। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বীরভূম জেলার সিউড়ি এলাকায়।

সূত্রের খবর, সোমবার সকালে বীরভূমের সিউড়ি এলাকার কেন্দুয়ায় 100 দিনের কাজ শুরু হয়েছিল। আর সেই সময় শ্রমিকরা তাদের কাজ করার সময় হঠাৎ করেই ব্যাপক বচসা তৈরি হয়। অভিযোগ, কে কে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে যায়। পরবর্তীতে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। আর তারপরেই পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় পৌঁছে দেখা যায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান নারায়ন বাগদিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এরপরই পরিস্থিতি আরও রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে। যেখানে তৃণমূলের সেই পঞ্চায়েত প্রধানকে লাঠি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অর্থাৎ ভোটের ফলাফল পেরিয়ে যাওয়ার বহুদিন পরেও এখন কে কাকে ভোট দিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সংঘর্ষ বিরাজমান রাজ্যে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই গোটা ঘটনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। একশো দিনের কাজে শ্রমিকদের মধ্যে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলে যেভাবে সংঘর্ষ তৈরি হয়েছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, তা কার্যত নজিরবিহীন। এর ফলে বিরোধীরা তাদের হাতে বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গেল।

এতদিন বিরোধীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। আর এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ওপর হামলা বিরোধীদের পক্ষ থেকে “গণতন্ত্র নেই” এই দাবি তুলতে আরও সহজলভ্য হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!