এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি রাজ্যপাল সরেজমিনে খতিয়ে দেখা শুরু করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছে তৃণমূল

ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি রাজ্যপাল সরেজমিনে খতিয়ে দেখা শুরু করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ছে তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই আবার রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত শুরু হয়েছে। তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার গঠনের পর থেকেই হিংসার ঘটনা বাড়তে থাকায় মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নেওয়ার পরই নাম না করে তাকে বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। যার ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হতে শুরু করে। আর এবার ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা বাড়তে থাকায় ভোটের মধ্যে সবথেকে বেশি বিতর্কিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে শীতলকুচি নিয়ে, সেই শীতলকুচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল রাজ্যপালকে।

ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের এই সফরকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এত জনাদেশ নিয়ে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও কেন সাংবিধানিক প্রধান নিজের আয়ত্তের বাইরে গিয়ে এইভাবে সফর করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে ঘাসফুল শিবিরের নেতা নেত্রীদের। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে শীতলকুচিতে গিয়ে রাজ্যপাল যেভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন, তাতে নতুন করে অশান্তির আবহ তৈরি হতে পারে সাংবিধানিক বনাম প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে বলেই মনে করছেন একাংশ।

জানা গেছে, জগদীপ ধনকার শীতলকুচিতে সফর করবেন জেনে বুধবার তাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্যপাল কোনো জেলা সফর করলেও, সরকারকে তা জানাতে হয়। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল তার কোনো তোয়াক্কা করেননি। যার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র সমস্যা তৈরি হয়েছে. তবে রাজ্যপাল শীতলকুচিতে যাওয়ার পরেই এভাবে তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়বেন, তা কেউ কল্পনা করতে পারেননি।

কিন্তু কোচবিহারে শীতলকুচিতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধানকে লক্ষ্য করে “গো ব্যাক” স্লোগান দিতে দেখা গেল একাংশকে। অনেকে বলছেন, এর পিছনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জড়িত আছেন। অনেকে বলছেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপাল যে কোনো জেলায় সফল করতেই পারেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে তোলা প্রশ্ন কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যেমন রাজ্য প্রশাসন এবং সরকারের, ঠিক তেমনই সরকার ঠিকমত পরিচালনা হচ্ছে কিনা এবং রাজ্যের মানুষ কতটা অসুবিধায় রয়েছেন, তা ঠিকমতো দেখার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালের। সেক্ষেত্রে ভোট-পরবর্তী হিংসা যখন থেকে বাড়তে শুরু করেছিল, তখন থেকেই রাজ্যের শাসকদল এবং পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার।

যার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মুখ খুলে “রাজ্যপালের কোনো কাজ নেই, সারাদিন টুইট করেন” বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখন থেকেই তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত যে আরও তীব্র হয়ে ফুটে উঠতে শুরু করেছিল, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

আর এবার ভোট পরবর্তী হিংসার কথা তুলে ধরে কোচবিহারের শীতলকুচিতে রাজ্যপাল যেতেই যেভাবে তিনি “গো ব্যাক” স্লোগানের মুখে পড়লেন, তাতে এই ঘটনার পেছনে শাসক দলের একাংশ জড়িত বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে শাসক শিবিরের সঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দ্বন্দ্ব ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!