এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্য সরকারকে প্রবল অস্বস্তির মুখে ঠেলে দিল হাইকোর্ট, জল্পনা তুঙ্গে

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজ্য সরকারকে প্রবল অস্বস্তির মুখে ঠেলে দিল হাইকোর্ট, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। একইসাথে সরব হয়েছিলেন বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। অন্যদিকে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু জানা গিয়েছে, মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিকেও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। তাই নিয়েই এবার ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্য সরকারের প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে ভোট পরবর্তী হিংসার যাবতীয় রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে মুখবন্ধ খামে।

পাশাপাশি কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। আর এই নিয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল একহাত নিয়েছেন। রাজেশ বিন্দাল এদিন প্রশ্ন করেন, কমিটির কাছে কে রিপোর্ট পেশ করেছিলেন? তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেন তিনি। এর জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, আইজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামীমের কথা। অন্যদিকে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্যকে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা যাদবপুরে সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ ডিসিপি এস এসবি রশিদ মুনির খানকে শোকজ করেছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি মানিকতলার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের হত্যার ঘটনা নিয়ে হাইকোর্ট এবার দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল, যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আজকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে সাতটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশগুলি হল- প্রথমত, প্রত্যেকের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করতে হবে এবং তদন্ত শুরু করতে হবে রাজ্য পুলিশকে দ্রুত। একইসাথে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে হবে সরকারকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি যাদবপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদের বাধার মুখে পড়তে হলো কেন? আর তা নিয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে কেন শোকজ করা হয়নি তার উত্তর দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। একই সাথে যা যা অভিযোগ জমা পড়েছে, সে সমস্ত তথ্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হাতে তুলে দিতে হবে। এবং রাজ্যের কাছে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যাবতীয় যা যা তথ্য রয়েছে, সেগুলি মুখ্যসচিবের দায়িত্বে সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যদিকে আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ জমা নিয়ে আক্রান্তদের ফিরিয়ে দেওয়ার কারণে আরও বেশ কয়েকটি জেলার এসপি এবং পুলিশ কমিশনারকে শোকজ করা হবে।

মনে করা হচ্ছে, রাজ্য বিজেপি যে অভিযোগ করে আসছিল এতদিন ধরে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তা কার্যত আজকে মান্যতা পেল আদালতের নির্দেশে। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার যে আজকে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ল তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের অস্বস্তি যে বহুগুণে বাড়িয়ে দিল হাইকোর্টের এই নির্দেশ সে ব্যাপারে একমত রাজ্য রাজনৈতিক মহল। জানা গেছে, আগামী 13 ই জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!