এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তিন রাজ্যে ভোটের ফলাফলের পর মমতা ব্যানার্জি কতটা এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে

তিন রাজ্যে ভোটের ফলাফলের পর মমতা ব্যানার্জি কতটা এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে


অনেকেই বলেছিল যে, দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের মসনদে দখলের ক্ষেত্রে ঠিক কারা অ্যাডভান্টেজ পেতে পারে? সেইমত দেশের পাঁচ রাজ্যের মধ্যে প্রায় তিন রাজ্যেই জয়লাভ করেছে কংগ্রেস।

মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় এবং রাজস্থানে হাত শিবিরের জয়লাভ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধীকে বাড়তি অক্সিজেন যুগিয়েছে। কিন্তু রাহুল গান্ধী বা কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই ফলাফল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আশাব্যঞ্জক হলেও এতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অন্যান্য মোদি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলোর কপালে।

যেমন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরাতে প্রথম থেকেই দেশের সমস্ত আঞ্চলিক দলের নেতা নেত্রীকে নিয়ে বিরোধী মহাজোট করার ব্যাপারে আলোচনার সলতে পাকানো শুরু করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই। অ-কংগ্রেসি এবং অ-বিজেপি জোট গড়ে তুলতে আঞ্চলিক দলগুলিকে এককাট্টা করার কথা বারে বারে বলে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু সেই বিরোধী মহাজোটে বর্তমানে যোগ দিয়েছে কংগ্রেসও। কিন্তু আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখে হাত শিবির অনেকটাই উচ্ছ্বসিত। তাই ভবিষ্যতে কংগ্রেস ঠিক কতটা এই আঞ্চলিক দলের অন্যান্যদের পাত্তা দেবে তা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। এমতাবস্থায় অনেকেই মনে করছেন যে এই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না করে আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে একটি আলাদা জোট গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাহলে কংগ্রেস যেমন তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে খাড়া করতে পারবে না, ঠিক তেমনি বিজেপিকে সরাতেও এই আঞ্চলিক জোটের তেমন কোনো সমস্যা হবে না।

কিন্তু অনেকে আবার চাইছেন যে কংগ্রেসের মতো জাতীয় দলের সাথে জোট বাঁধতে তাতে তাদের আদতেই লাভ। আর তাই এখন থেকে অনেকেই রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হবে দৌড়ে এগিয়ে রাখছেন। কেননা কংগ্রেস জাতীয় দল তারা গোটা দেশে ছড়িয়ে আছে। কিন্তু আঞ্চলিক দলগুলির ক্ষমতা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিসরে। ফলে গোটা দেশের রাজনীতিতে তার প্রভাব এমন কিছু পর্বে না বলেই মনেকরছেন রাজনৈতিকমহল। আর এখানেই অনেকের মত যে কংগ্রেস ভাল ফল করে মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হবার আসা ক্ষীণ।

আর কংগ্রেসের সাথে থাকতে যে অতটা ইচ্ছে নেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেছে আজ দেশের তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। সূত্রের খবর, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানালেও তিনি সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে আগামীতে আদৌ সেই তৃনমূল রাহুল গান্ধীর কংগ্রেসের সাথে বিরোধী মহাজোটে থাকবে কিনা তা নিয়ে একটা ধন্দ্ব থেকেই যাচ্ছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কারণ আঞ্চলিক দলের নেতা-নেত্রীরা এটা ভাল করেই জানেন যে এই কংগ্রেস যদি এখন থেকেই বিরোধী দলের তকমা নিতে শুরু করে তাহলে তাদের শক্তি অনেকটাই ক্ষীন‌ হতে শুরু করবে। ফলে সেখানে কংগ্রেস যদি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অনেকটাই আসন পেয়ে যায় তাহলে দেশে গুরুত্ব হারাতে পারে আঞ্চলিক দলগুলো। তাই এবার কেন্দ্রের মসনদ থেকে বিজেপিকে সরাতে দেশের এই আঞ্চলিক দলগুলো অ-কংগ্রেসী ও অ-বিজেপি জোট গড়ে তোলেন কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!