প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –5 টি জেলার 30 টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বড় নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। যে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। আর দুই দলকে টেক্কা দিতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী করা হয়েছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে‌। প্রতিটি রাজনৈতিক দল ভোটের আগে থেকেই নন্দীগ্রামে একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ করতে শুরু করেছিলেন।

তবে কমিশনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করাতে অনেকেই আশাবাদী হয়েছিলেন, এবার হয়ত সেভাবে কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু ভোট শুরু হওয়ার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম। যেখানে বোমা পড়ার ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি।

সূত্রের খবর, এদিন নন্দীগ্রাম 1 নম্বর ব্লকের কালিচরণপুরে রাতভর বোমাবাজি চলেছে। এমনকি সকাল পর্যন্ত সেই বোমাবাজি হয়েছে। যার ফলে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটারদের ভয় দেখাতে বোমাবাজি এবং মারধর করতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এখন উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে নন্দীগ্রামে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নন্দীগ্রামে যাতে কোনোরুপ অশান্তি না হয়, তার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে 144 ধারা। তার পরেও কিভাবে নন্দীগ্রামে বোমাবাজির মত ঘটনা ঘটল? তবে একাংশ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে ছোট, বড়, মেজো যে কোনো নির্বাচনেই অশান্তির ঘটনা ঘটে থাকে। তাই সেদিক থেকে নন্দীগ্রাম ব্যতিক্রম হল না।

কমিশনের পক্ষ থেকে যতই পদক্ষেপ নেওয়া হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম 1 ব্লক। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।