এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুধু নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখাই নয়, বাম- কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ আটকাতেও মরিয়া তৃণমূল

শুধু নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখাই নয়, বাম- কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ আটকাতেও মরিয়া তৃণমূল


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে চতুর্মুখী লড়াই হলেও মূলত শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে বিরোধী দল বিজেপির। কেননা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই এই রাজ্যে ধীরে ধীরে বামেদের সংগঠন নুইয়ে পড়েছে। অন্যদিকে একই অবস্থা কংগ্রেসেরও।

বর্তমানে খাতায়-কলমে তারা রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলের তকমা পেলেও সেইভাবে কোনোখানে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারেনি তারা। ফলে বাম এবং কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা এবার বিজেপিকে ভোট দিতে পারেন এই আশঙ্কাতেই সেই বাম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অতটা সংঘাতের রাস্তায় যেতে চাইছে না শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে।

প্রসঙ্গত, গত 2016 সালের নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেসের জোটের ফলে তৃণমূলের ভোট ছিল 45 শতাংশ, অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বামেরা 26%, কংগ্রেস 10.3 শতাংশ এবং বিজেপি 10.7 শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আর সেই বিধানসভা নির্বাচনের পর বিগত দুই বছরে রাজ্যের বিরোধী দলের জায়গাটা দখল করেছে বিজেপি। ফলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিই শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী দল হিসেবে লড়াই করতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট অ্যাটাকে অবতীর্ণ হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে তুলে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এমনকি এই রাজ্যে 42 এর মধ্যে 42 টি আসনই যাতে নিজেদের দখলে থাকে, তার জন্য দলীয় নেতৃত্বদের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এমত একটা পরিস্থিতিতে রাজ্যে কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া বাম এবং কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক ঠিক কোন দিকে যাবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে চূড়ান্ত বিশ্লেষণ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর কলকাতার এক তৃণমূল নেতা বলেন, “বিজেপি যেমন হিন্দু ভোট নিয়ে রাজনীতি করছে, ঠিক তেমনই বাম এবং কংগ্রেস শিবির থেকে রাজ্যের শাসক বিরোধী জনমত হিন্দুত্ববাদীদের দিকে যদি ঝুকে যায়, তাহলে তৃণমূলীদের সঙ্গে তাদের ব্যবধান কমে যেতে পারে।” অন্যদিকে বামেরা তাদের ভোট যদি না ধরে থাকতে পারে, তাহলে তা বিজেপির দিকে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তৃণমূলের অনেক নেতাই।

আর এখানেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, এই বিরোধী বাম এবং কংগ্রেসের ভোট যত বিজেপির দিকে যাবে, ততই ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর তাইতো সেইভাবে এবার বাম এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিষোদগার না করে বিজেপিকে বিভিন্ন সভা থেকে খোঁচা দিচ্ছেন রাজ্যের শাসক দল ঘাসফুল শিবিরের নেতারা।

কেননা তারা চান বাম এবং কংগ্রেসের ভোট সেই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ঝুলিতেই পড়ুক। আর যত এই ভোট ভাগাভাগি হয়ে বিজেপির দিকে যাবে, ততই কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়বে শাসক দল তৃণমূলের। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয়, কোন পথে এগোয় বাংলার রাজনীতি! এখন তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!