এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোটব্যাঙ্কের জন্যই কি বালি চুরি নিয়ে দু জেলায় মমতার দুরকমের মনোভাব? উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন!

ভোটব্যাঙ্কের জন্যই কি বালি চুরি নিয়ে দু জেলায় মমতার দুরকমের মনোভাব? উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কোথাও নরম, আবার কোথাও বা গরম। বালি চুরি নিয়ে দুই জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই সুর শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। বালি চুরির অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরে উঠলেও, সেখানে নীরব থাকতে দেখা গেল রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। কিন্তু ঝাড়গ্রামে রীতিমত গোটা ঘটনায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের আরও বেশি করে তৎপরতা অবলম্বন করতে বললেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে দুই জেলায় কেন দুইরকম বক্তব্য শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, এই পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় অবৈধ বালি কারবারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখনই প্রশাসনিক বৈঠকে আসতেন, তখনই এই বালি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সতর্ক করে দিতেন। কখনও বা বকা খেতেন জনপ্রতিনিধিরাও। আর এবারও প্রশাসনিক বৈঠকে এসে সেই কথা বললেন তিনি। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরে এই অবৈধ বালি কারবারের বিষয়টি অতটা গুরুত্ব না দিলেও, ঝাড়গ্রামে বেশ গুরুত্ব সহকারেই গোটা ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই গড়বেতার বিধায়ক আশিস চক্রবর্তীকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গড়বেতার অনেক কমপ্লেন পাচ্ছি কেন? উত্তরে আশিসবাবু বলেন, “আর কোনো গোলমাল নেই।” এদিকে বিধায়কের এই কথা শুনে আর এই ব্যাপারে কথা বাড়াননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে বুধবার ঝাড়গ্রামের বৈঠকে এই অবৈধ বালি কারবারের নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় বাংলার প্রশাসনিক প্রধানকে। জানা যায়, এদিনের বৈঠকে জেলা পরিষদের ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামনি মুর্মু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ করে বলেন, “রাত 11 টার পরে বালি ও মোরাম পাচার হচ্ছে।” আর তারপরেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এটা দেখো না কেন? সে যেই হোক, বালিটালি প্রচার করতে দেব না। স্ট্রং অ্যাকশন নিতে হবে। কয়েকটাকে অ্যারেস্ট করুন। তবেই সব ঠিক হবে।” অর্থাৎ তিনি যে এই ঘটনাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করবেন না, তা বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলে বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করলেন। কেননা বিভিন্ন জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। এমনকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে শাসক দলের নেতাদের। তাই পশ্চিম মেদিনীপুরের সমস্যা নিরসনের কথা শুনে ঝাড়গ্রামে সেই সমস্যা উঠে আসতেই জেলা প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেওয়ার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!