এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোটগণনার আগের দিনই তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী

ভোটগণনার আগের দিনই তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 8 দফা নির্বাচন শেষে রাত পোহালেই ভোট গণনা। আগামী পাঁচ বছর কাদের হাতে যাচ্ছে বাংলার ক্ষমতা, তা দেখার জন্য এই মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা রাজ্যজুড়ে। ইতিমধ্যে কমিশন বেশ কিছু করোনাবিধি চালু করেছে ভোট গণনা কেন্দ্রে থাকার জন্য। আর এই নিয়ে আজকে একটি বৈঠক চলছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া এলাকায়। কিন্তু সেই বৈঠক মাঝপথেই থেমে গেল তৃণমূল-বিজেপির তুমুল সংঘর্ষের কারণে। করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সবরকম নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দুই দলের কর্মী সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে একে একে অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উত্তেজনা সামাল দিতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বলে জানা গিয়েছে।

শেষ পর্যন্ত বৈঠক বাতিল হয় বলে জানা গেছে। শনিবার কাটোয়া কলেজে কাটোয়া মহকুমা এলাকার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং কাটোয়ার এজেন্টদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল যাতে গণনাপ্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে হয় এবং করোনাবিধি যাতে বজায় রাখা হয় এবং কাউন্টিং এজেন্টদের যাতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ কাটোয়ার সংহতি মঞ্চে এই বৈঠক শুরু হয়। ঘন্টাখানেক বৈঠক চলার পর শুরু হয় ঝামেলা।

জানা গিয়েছে, ওই প্রেক্ষাগৃহের মধ্যেই কেতুগ্রামের বিজেপি প্রার্থীর মথুরা ঘোষ এবং কাটোয়া পুরসভার 12 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সুদিপ্তময় ঘোষের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। প্রথমে কথা-কাটাকাটি এবং তারপরে রীতিমতো লাঠালাঠি শুরু হয়ে যায় দুই দলের এজেন্টদের মধ্যে। প্রেক্ষাগৃহ থেকে ঝামেলা এসে পড়ে রাস্তায়। দুইদলের এজেন্টদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাটোয়া থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কেতুগ্রামের বিজেপি প্রার্থী মথুরা ঘোষ জানিয়েছেন, কমিশনের উপস্থাপনায় যখন বৈঠক চলছিল, তখন মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সবার মতামত নেওয়ার সময় বিজেপিকে বলতে বাধা দেয় তৃণমূলের লোকজন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তখন তাঁরা অর্থাৎ বিজেপির লোকজন মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এবং সে সময় তাঁদের ওপর তৃণমূলের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে মারধর করে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্টিং এজেন্ট তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর সুদিপ্তময় ঘোষ পাল্টা অভিযোগ করেছেন, বৈঠকে আলোচনার সময় তাঁর ওপর বিজেপি প্রার্থী এবং তাঁর দলের লোকজন জড়ো হয়ে মারধর করে। আর তা থেকেই শুরু হয় ঝামেলা। উল্লেখ্য, কাটোয়া মহকুমার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র মিলে প্রায় এক হাজারের বেশি বুথ রয়েছে। এদিন সর্বদলীয় কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে বৈঠক হচ্ছিল। তবে পাল্টা কমিশনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অনেকেই।

করোনা পরিস্থিতি যখন মাত্রাছাড়া, সেসময় এত লোকজন নিয়ে বৈঠক হওয়ার কি কারণ? এই ঘটনার পর পুলিশের কাছে বিজেপি এবং তৃণমূল উভয় দলই একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই গণনার আগের দিন তৃণমূল বিজেপির এই তুমুল সংঘর্ষ ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পাশাপাশি এলাকায় তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, গণনার আগে যদি এই অবস্থা তৈরি হয়, তাহলে গণনার পর কি হতে চলেছে তাই নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে সর্বত্র।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!