এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ভোটের আবহে উত্তেজনা বাড়ল দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যে, তীব্র গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে

ভোটের আবহে উত্তেজনা বাড়ল দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যে, তীব্র গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের বহু আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গের দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল ও বিজেপির মহাযুদ্ধ দেখে চলেছে রাজ্যবাসী। আর এই মহাযুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য একটা বিশেষ স্থান নিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এবার আবার বেফাঁস মন্তব্য করে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

এদিন প্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে যেভাবে তিনি কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী নন্দীগ্রামে জনসংযোগে বেরিয়ে আহত হয়েছিলেন। তাঁর পা এখনো ব্যান্ডেজ করা। যথারীতি তিনি মাটিতে পা রাখতে পারেন না।

সামনের দিকে পা তুলে তবে তিনি বসতে পারেন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর এই ভঙ্গিমাকেই ব্যাপক কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। আর সেই কটাক্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে কখন যে তা কুরুচিকর মন্তব্যে পরিণত হয়েছে তা বোধহয় নিজেও বুঝতে পারেননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তৃণমূল নেত্রীর পা ভাঙা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তাঁকে বারমুডা পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

 আর তাই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার বান্দোয়ান বিধানসভার দলীয় প্রার্থী পারসী মুর্মুর হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সেখানেই হাটতলা মোড় থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগামহীনভাবে আক্রমণ করতে শুরু করেন দিলীপ ঘোষ।

আর তাই করতে গিয়েই একের পর এক কুরুচিকর মন্তব্য করেন। এদিন তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যান্ডেজ বাঁধা পা তুলে তুলে সবাইকে দেখাচ্ছে। এক্ষেত্রে শাড়ি পরা একটা পা ঢাকা রয়েছে, আর একটা পা খোলা রয়েছে। আর এই মন্তব্য করেই দিলীপ ঘোষ হঠাৎ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারমুডা পড়ার পরামর্শ দেন। তাহলে নাকি পরিষ্কার দেখা যায়। 

আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে দিলীপ ঘোষ কি বলতে চাইছেন? একই সাথে তিনি দাবি করেছেন, বাংলা নিজের মেয়েকে চায়না। বাংলা এবার নিজের মেয়ের হাত থেকে মুক্তি চায়। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি উদাহরণ দিয়েছেন, মেয়েরা বেশি দিন বাপের বাড়িতে থাকলে লোকে খারাপ কথা বলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই দশ বছর হয়ে গেছে তৃণমূল নেত্রীর, এবার তাঁকে বিদায় দেওয়ার পালা এসে গেছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এইসব কথা যথেষ্ট বিতর্কিত বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারীরা। একইসাথে ‘দিদিকে বল’ নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ সহযোগে বলেন, ‘দিদিকে বল’ হোর্ডিং দেখা যেত এতদিন। আর এখন দিদিকে ঠেলতে হচ্ছে চারজনে মিলে। 

প্রসঙ্গত তৃণমূলনেত্রী এই মুহূর্তে হুইল চেয়ারে বসেই সব জায়গায় যাতায়াত করেন। মনে করা হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গ তুলেই দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন। দিলীপ ঘোষ যখন এ ধরনের মন্তব্য করছেন, তখন সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী পারসী মূর্মু এবং জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী।খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভোটের মুখে যেভাবে দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এধরনের কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তা যে আগামী দিনে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করবে সে কথা বলাই বাহুল্য।

 পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, কোন মানুষের অসুস্থতা নিয়ে এধরনের কথা বলা মোটেই যুক্তিসংগত নয়। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যকে নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে সব মহলে। তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে যেভাবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বেফাঁস মন্তব্য করেছেন, তা যথেষ্ট নিন্দনীয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!