এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ভোটের আগে দলের বহু আদি কর্মী ক্রমশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন, চিন্তায় ঘুম উড়ছে গেরুয়া শিবিরের

ভোটের আগে দলের বহু আদি কর্মী ক্রমশ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন, চিন্তায় ঘুম উড়ছে গেরুয়া শিবিরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল শিবির থেকে বিক্ষুব্ধ মনোভাব নিয়ে কিংবা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অনেকেই গিয়ে যোগ দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে। আর সেখানেই সমস্যা শুরু হয়েছে বিজেপির। বর্তমানে বিজেপির বহু আদি কর্মী পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন, যা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের জন্য মোটেই ভাল কথা নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একুশের নির্বাচনে বাংলার রাজনৈতিক মসনদ দখল করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। আর তাই দলের প্রতিটি কর্মীকে সক্রিয় করে তুলতে চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সম্প্রতি মালদা জেলার অনেক কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

আর তাই নিয়েই মালদা বিজেপি নেতৃত্ব সংগঠনকে চাঙ্গা করতে তড়িঘড়ি নিষ্ক্রিয় কর্মীদের নামের তালিকা তৈরী করে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কাছে। আর এবার বর্তমানে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া কিংবা দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা কর্মীদের এবার ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে খবর। অন্যদিকে মালদা জেলার বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, গেরুয়া শিবির একটি পরিবারের মতো। পরিবারের যে কোনো সদস্য এই মুহূর্তে হয়তো ভিন্ন ভিন্ন কারণে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখছেন, কিন্তু তাঁদেরকে নতুন করে ফিরিয়ে আনা হবে।

সেক্ষেত্রে গোবিন্দ্রচন্দ্র মন্ডল এই মুহূর্তে যে লক্ষ্য একটাই তৃণমূলকে রাজ্য থেকে উৎখাত করা সে দাবিও করেন। শনিবার দলীয় কর্মসূচিতে মালদা এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সূত্রের খবর, দলের নিষ্ক্রিয় আদি কর্মীদের নিয়ে মালদা জেলা সভাপতির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা চালান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। অন্যদিকে বিজেপির অন্দরে শোনা যাচ্ছে বর্তমানে নিষ্ক্রিয় কর্মী এবং পুরনো কর্মীদের যদি ফিরিয়ে আনা হয় তাহলে কিন্তু দলের উপকার হবে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দল থেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অনেকেই। বিজেপি তাঁদের নিঃসংকোচে দলেও নিচ্ছে। তাহলে বহিস্কৃত বা নিষ্ক্রিয় সদস্যদের দলে কেন ফেরানো হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়ে বিজেপির রাজনৈতিক উত্থান এর অন্যতম কারিগর ছিলেন সেসময়কার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তপন সিকদার। তপন সিকদার এর আমলে যারা বিজেপিতে যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন, তাঁরা বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। তাই নিষ্ক্রিয়দের তালিকায় স্থান পেয়েছে সেই সময় থেকে এই সময় পর্যন্ত সমস্ত নিষ্ক্রিয় বিজেপি কর্মী। তাঁদেরকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের সময় দলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকা সঞ্জিত মিশ্রকে নির্বাচন শেষ হওয়া মাত্রই বহিষ্কার করা হয়েছিল। এবার তাঁকেও দলে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে সঞ্জিত মিশ্র এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, দলের জন্যই তিনি কাজ করেছেন। দল সরিয়ে দেওয়ার পরেও তিনি দলেরই হয়ে রয়েছেন। তাই বিজেপি যদি আবার তাঁকে ডাকে, তিনি দলের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে বিজেপির অন্দরে আদি এবং নব্য কর্মীদের নিয়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, সে প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র সুমালা আগরওয়াল জানান, গেরুয়া শিবিরের পরিস্থিতি মোটেই সুখকর নয়। সংগঠনের এই অবস্থায় তাঁরা কখনোই ক্ষমতায় আসবে না। মানুষ নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সাথে  আছেন বলে তিনি দাবি করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে গেরুয়া শিবিরে কিন্তু প্রাধান্য বাড়ছে তৃণমূল থেকে আগত নেতা-নেত্রীদের।

সে ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিকভাবেই আদি এবং নব্য বিজেপি কর্মীদের সংঘাতের প্রসঙ্গটি আসে। এবং সে কারণেই দলে থেকে অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ আসলে তাঁর পাশে কিন্তু দেখা যায় সদ্য তৃণমূল থেকে আসা অন্যতম নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আরও একজন তৃণমূল থেকে আসা নেতা মুকুল রায়কে। খুব স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরের আদিরা কিন্তু ব্যাপারটি খুব একটা ভালো ভাবে নিচ্ছেনা বলেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!