এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ভোটের আগে কোনো ঝুঁকি না নিতে চাওয়া মমতার সরকার এবার সত্যিসত্যিই বাড়িতে গিয়ে পরিষেবা দেবে

ভোটের আগে কোনো ঝুঁকি না নিতে চাওয়া মমতার সরকার এবার সত্যিসত্যিই বাড়িতে গিয়ে পরিষেবা দেবে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবিরের ট্রাম্পকার্ড এই মুহূর্তে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচী এবং ‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প’। রাজ্যের প্রায় সবার হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেওয়ার জন্য তৃণমূল নেত্রী মরিয়া। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে লাইন দিয়ে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ পরিষেবায় সংযুক্ত হতে চাইছে মানুষ। এমন কি বিরোধী শিবিরের নেতাদের পরিবার থেকেও ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড তৈরি করা হয়েছে। এই নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। যদিও বিরোধীরা ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় বাঁকা মন্তব্য করেছেন এবং এখনও করছেন। তবে এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দারুণ অফার।

এবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে সরকারি সুযোগ সুবিধা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, যেসব বাসিন্দা এখনো পর্যন্ত ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড তৈরি করে উঠতে পারেননি, এবার তাঁদের বাড়িতেই সরকারি কর্মীরা গিয়ে হাতে হাতে সমস্ত নিয়মাবলী মেনে ফর্ম তুলে দেবেন। এমনকি ফর্ম জমাও নেবেন বাড়িতে গিয়ে সরকারি কর্মীরা। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট তারিখ আবেদনকারীদের জানানো হবে এবং সেই দিনেই গ্রাম পঞ্চায়েত অথবা পুরসভার অফিসে গিয়ে ছবি তুলে আবেদনকারীরা হাতে হাতে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড পেয়ে যাবেন। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই জেলার 25 হাজারের বেশি বাসিন্দা ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড পেয়েছেন। 

তবে জেলার প্রত্যেকটি অধিবাসী যাতে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ পরিষেবার আওতায় আসতে পারেন, তার জন্য এবার সরকার তাঁদের ঘরে পৌঁছে যাবে। যারা ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে গিয়ে আবেদন করতে পারেননি, কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের অফিসে যাওয়া যাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি, তাঁদের জন্য এ এক সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতাভুক্ত হওয়ার জন্য বিডিও অফিসে ভিড় উপচে পড়তে দেখা গিয়েছে। এরপর ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পেও ‘স্বাস্থ্যসাথী’র আবেদনের জন্য ব্যাপক ভিড় দেখা গিয়েছে। পরপর ধাপ পূরণ করে অনেকেই ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড হাতে পেয়েও গিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এবার যারা এখনো পর্যন্ত ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড তৈরি করতে পারেননি, তাঁদের জন্য বাড়ি গিয়ে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ডের জন্য আবেদন পত্র দেওয়া এবং জমা নেওয়ার কাজ শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের দাবি, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড করতে গিয়ে যাতে কোনরকম হয়রানির শিকার হতে না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা। পাশাপাশি প্রশাসনের এই উদ্যোগকে যথেষ্ট সাধুবাদ জানিয়েছে জেলাবাসী। তবে ভোটের আগে নাটক চলছে বলে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস জানিয়েছেন, তৃণমূল সরকার জনমুখী সরকার।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড তৈরি করার যে কর্মসূচি চলছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সেক্ষেত্রে বিরোধীদের মন্তব্য তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে জেলা বিজেপি সভাপতি বিনয় বর্মন বিতর্ক উস্কে দিয়ে জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড অধিকাংশ নার্সিংহোমে গ্রাহ্য হচ্ছেনা। তবে এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে এরকম দু-একটি অভিযোগ সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। সেক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর। রাজ্যজুড়ে এই মুহূর্তে চলছে শাসক শিবিরের ব্যাপক ভাঙন। এই অবস্থায় শুধুমাত্র উন্নয়নের হাত ধরে ভোট পাবার আশায় তৃণমূল সরকার। আর তাই ঘরে ঘরে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ কার্ড পৌঁছে দেওয়ার এই যে উদ্যোগ তা যে ভালোই সাড়া ফেলবে তা বলা যায়। তবে এত করে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক ভরবে কিনা, তা বলবে সময়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!