এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ভোটের আগে বড়সড় পদক্ষেপ বিজেপিতে, পদ হারালেন হেভিওয়েট নেতা, নতুন দায়িত্বে এলেন এই তরুণ নেতা

ভোটের আগে বড়সড় পদক্ষেপ বিজেপিতে, পদ হারালেন হেভিওয়েট নেতা, নতুন দায়িত্বে এলেন এই তরুণ নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যে তাদের কাছে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের অন্যতম প্রধান সুযোগ, তা ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মাঝেমধ্যেই রাজ্যে আসতে দেখা যাচ্ছে অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে। বিভিন্ন জেলার সংগঠনকে চাঙ্গা করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সেই ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

আর সেই মত করে বুথের সংগঠনকে চাঙ্গা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে বিজেপিকে। আর এবার তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বীরভূম জেলায় সংগঠনে বড়সড় পরিবর্তন ঘটালো গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতির শ্যামাপদ মন্ডলকে সরিয়ে তার জায়গায় জেলা সভাপতি হিসেবে আনা হল ধ্রুব সাহাকে। জানা গেছে, এই ধ্রুব সাহা বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য। কিন্তু এদিন তাকে জেলা বিজেপির সভাপতি করে দেওয়ার ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই রীতিমত বীরভূম জেলা বিজেপির অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

অনেকে বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই শ্যামাপদ মন্ডলকে সরিয়ে এই ধ্রুব সাহাকে জেলা সভাপতি করা হল। জানা গেছে, এই ধ্রুব সাহা বিজেপির রাজ্য সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তবে নতুন এই জেলা সভাপতিকে নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। ছাত্র রাজনীতি থেকে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, বিজেপির অনেকের কাছেই তিনি খুব একটা স্বচ্ছ মুখ নন।

2015 সালে বিভিন্ন অর্থলগ্নী সংস্থার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে গ্রাহকদের প্রতারণা এবং অর্থ তছরুপের অভিযোগে গ্রেপ্তার হতে হয়েছিল এই ধ্রুব সাহাকে। পাশাপাশি তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুর সহ অস্ত্র রাখার অভিযোগে তাকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে এরকম মুখকে কেন জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়ে দলের অন্দরে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, এখন এমন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া মানে দলকে পিছনের দিকে ঠেলে দেওয়া। তবে একাংশের দাবি, তৃণমূলের মত শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে এরকম মুখই দরকার। কিন্তু তার কাজ না দেখে তাকে নেতিবাচক আখ্যা দেওয়া ঠিক নয়। সকলকে কাজের সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু যাকে নিয়ে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে পারে, সেরকম নেতাকে কেন দায়িত্ব দেওয়া হল! এর ফলে বিজেপির অন্দরে তো গোষ্ঠী কোন্দল বৃদ্ধি পাবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন, “রাজ্য যুব মোর্চার প্রাক্তন সহ-সভাপতি ধ্রুব সাহাকে দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে তরুণ মুখের তত্ত্ব প্রাধান্য পেয়েছে।” কিন্তু তাকে এভাবে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে সদ্য প্রাক্তন জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত। দল যা ভালো বুঝেছে, করেছে। এই ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই।”

তবে দায়িত্ব পাওয়ার পর কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বীরভূম জেলার বিজেপির নতুন সভাপতি ধ্রুব সাহার। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে বীরভূম জেলার সংগঠনে বিজেপির এই রদবদল তাদের সংগঠনকে শ্রীবৃদ্ধি করে, নাকি অস্বস্তি বাড়ে গেরুয়া শিবিরের সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!