এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > “ভোটের আগের দিন আসিস, খরচা দিয়ে দিমু” বিজেপি প্রার্থীর ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি!

“ভোটের আগের দিন আসিস, খরচা দিয়ে দিমু” বিজেপি প্রার্থীর ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের মরসুমে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা হয়। আর এবার ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথীর প্রচারের ভিডিও সামনে চলে এল। যেখানে বিজেপি প্রার্থীকে তারই এক সঙ্গীকে বলতে শোনা গেছে, ভোটের আগের দিন আয়। খরচা দিয়ে দেওয়া হবে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ভিডিওকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই গোটা ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা বিলি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য জুড়ে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম শহরের একটি সবজি বাজারে ভোট প্রচার করতে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুখময় সতপথী। যেখানে প্রচারে তার সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “ভোটের আগের দিন আয়। খরচা দিয়ে দেওয়া হবে।” স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার পরেই ক্রমশ বিতর্কে পড়ে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। কেন এইভাবে প্রচারে টাকা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে?

বলা বাহুল্য, নির্বাচনের মধ্যে টাকা বা ঘুষ দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করলে ফৌজদারি আইনের 171 বি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যার ফলে এক বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসার সাথে সাথেই এখন রীতিমত সরব হয়েছে বিরোধীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের সিপিএম প্রার্থী মধুজা সেন রায় বলেন, “এর আগে বিজেপির বিরুদ্ধে মোবাইলে রিচার্জ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলেছে। আমরাও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাচ্ছি। আমাদের প্রশ্ন, যিনি টাকা দিয়ে ভোট নিতে চাইছেন, তাঁর প্রার্থীপদ থাকে কি করে! ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের ভোটারদের এইভাবে অপমান করার অধিকার বিজেপিকে কে দিয়েছে! একইভাবে এই ব্যাপারে গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই টাকার প্রলোভন দিয়ে ঝাড়গ্রামের ভোটারদের প্রভাবিত করছে। এই নিয়ে আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি।” তবে তিনি এই ধরনের ঘটনা ঘটালেন কেন! কেনই বা তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তি প্রকাশ্যে টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা বললেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থীকে জিজ্ঞাসা করা হলে এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি তিনি। তবে নির্বাচনের মুখে এই ধরনের ঘটনা যে বিজেপিকে যথেষ্ট বেকায়দার মুখে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!