এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোটের ফলাফল বেড়োনোর পর একের পর এক রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনা সামনে, সৌজন্যে তৃণমূল ও বিজেপি

ভোটের ফলাফল বেড়োনোর পর একের পর এক রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনা সামনে, সৌজন্যে তৃণমূল ও বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হবার পরেই শুরু হয়ে গেছে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। এই রাজনৈতিক হিংসা অবশ্য ভোট পর্বের আগে থেকেই শুরু হয়েছে। তবে ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর যেভাবে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা সামনে আসছে, তা কিন্তু যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রশাসনের।

গতকালই নন্দীগ্রামের বিজয়ী প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে হামলার মুখে পড়তে হয়। আর এবার নদীয়ার চাকদাতেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সেখানকার বিজয়ী বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হয়েছে ভাঙচুরও বলে দাবি জয়ী বিজেপি। খুব স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের তীর উঠেছে তৃণমূলের দিকে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে সবুজ ঝড় উঠলেও সারা দেশের নজর ছিল প্রথম থেকেই নন্দীগ্রামের দিকে।

কিন্তু নন্দীগ্রামে দিনের শেষে বির্তকিতভাবে হলেও জয়লাভ করলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এরপর তিনি হলদিয়ার গণনা কেন্দ্র থেকে বেরোনোর সময় তাঁকে ঘিরে ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। অভিযোগ উঠেছে উপস্থিত তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যার্থে শুভেন্দু অধিকারী এলাকা থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ করা হচ্ছে, নিজেদের প্রার্থী হেরে যাওয়ায় বিজেপির বিজয়ী প্রার্থীদের ওপর তৃণমূলের হামলা শুরু হয়েছে যা পূর্বপরিকল্পিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে গভীর রাতে হরিণঘাটা 12 নম্বর ওয়ার্ডের নিজের বাড়িতেই চাকদার বিজয়ী বিজেপি প্রার্থী বঙ্কিম ঘোষ হামলার মুখোমুখি হন। তাঁর বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চলে বলেও জানা যাচ্ছে। চাকদার বিজয়ী প্রার্থী বিজেপি প্রার্থী বঙ্কিম ঘোষ পাল্টা তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। যদিও সেখানকার স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রাজিব দালাল এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তৃণমূল এইসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।

অন্যদিকে খড়দার বিজেপি নেতার বাড়িতেও হামলা চালানো হয় বলে শোনা যাচ্ছে।এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুরেরর চন্দ্রকোনা কেশিয়াড়িতেও রাজনৈতিক অশান্তির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই রাজনৈতিক অশান্তি রাজ্যের শান্তি ভঙ্গ করছে বলে শোনা যাচ্ছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু যে কোনো রকম অশান্তি বন্ধ করার আবেদন করেছেন।

অন্যদিকে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে, কারণ ভোট প্রচারের সময় বিজেপির একাধিক নেতা যেভাবে বদলা নেওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, অনেকেই মনে করছেন এ তারই ফল। তবে যেকোনো রকম হিংসার ঘটনাকেই সমর্থন করা যায়না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই রাজনৈতিক ফলাফল ঘোষণার পর রাজ্যজুড়ে যেভাবে হিংসার ঘটনা বেড়ে চলেছে, তা বন্ধ হওয়া অবিলম্বে প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!