এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ভোটের কালিও তোলা যাবে নিমেষে! ফর্মূলা প্রকাশ্যে- আশংকা ভুয়ো ভোটারের, ঘুম উড়েছে নির্বাচনী আধিকারিকদের

ভোটের কালিও তোলা যাবে নিমেষে! ফর্মূলা প্রকাশ্যে- আশংকা ভুয়ো ভোটারের, ঘুম উড়েছে নির্বাচনী আধিকারিকদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচন যে অন্যান্য ভোটের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। একই সাথে শাসক এবং বিরোধী উভয় দলই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভুয়ো ভোটার নিয়ে। এবার সেই আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক, বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, যে ভোটের কালি এতদিন পর্যন্ত নাছোড়ভাবে থেকে যেত আঙুলে, সেই ভোটের কালি কিন্তু এবার খুব সহজেই তুলে ফেলা যাবে। আর এই কাণ্ডটি করা যাবে শুধুমাত্র স্যানিটাইজার এর সাহায্যে। হ্যাঁ, সেই স্যানিটাইজার যা করোনা আবহে আমাদের জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় বস্তু হয়ে উঠেছে।

করোনা আবহে স্যানিটাইজার ব্যবহারের মাত্রা যে বেড়ে গেছে তা বলাইবাহুল্য। কিন্তু প্রশ্ন হল স্যানিটাইজার এর ব্যবহারে ভোটের কালি কিভাবে উঠে যাবে? এক্ষেত্রে রহস্য সমাধান করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। তিনি জানিয়েছেন, ভোটের কালি শুকাতে দু মিনিট সময় লাগে। কিন্তু কালি লাগানোর সঙ্গে সঙ্গেই যদি স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে চাই বলে কেউ হাত ধুয়ে ফেলে, তাহলে কিন্তু ভোটের কালি উঠে যাবে। সেক্ষেত্রে ছাপ্পা ভোটের আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, যাদের এধরনের অভিসন্ধি থাকবে, তাঁরা কিন্তু যেনতেন প্রকারে ভোটের কালি লাগানোর পরে হাত ধোয়ার অজুহাত খুঁজবেন।

সেক্ষেত্রে উপায়? উপায় একটাই, নির্বাচনী আধিকারিকদের কড়া নজর রাখতে হবে ভোটারদের ওপর। অন্তত দু’মিনিট যাতে হাতে কিছু ব্যবহার না করতে পারে, সেদিকে কড়া নজর রাখলেই ভুয়ো ভোটার আটকানো সম্ভব। কিন্তু স্যানিটাইজারে কোন ফর্মূলা কাজ করছে, যাতে ভোটের কালি উঠে যাবে? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর সহকারী অধ্যাপক মেহবুব রহমান জানিয়েছেন, ভোটের কালিতে ব্যবহার হয় সিলভার নাইট্রেট। যে কারণে ভোটের কালি শুকিয়ে গিয়ে বেগুনি রং হয়ে যায়। এবং নাছোড়ভাবে প্রায় সপ্তাহ দুয়েক থেকে যায়। কিন্তু এই কালিও স্যানিটাইজারের সাহায্যে উঠতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তার কারণ, স্যানিটাইজারে ব্যবহৃত উপাদান। বাজারে যেসব স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে, তার উপাদান মোটামুটি তিন ধরনের। যথা- আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল, ইথানল এবং হাইড্রোজেন পার অক্সাইড। এবং রসায়নবিদ্যায় জানা যায় যেকোন দাগ তুলতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের তুলনা নেই। কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অতএব স্যানিটাইজার ব্যবহার করে ভোটের কালি যদি কেউ মুছে দিতে চান, নির্দ্বিধায় তা করা যাবে। সেক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা নির্বাচনী আধিকারিকরা।

তাঁদের কড়া নির্দেশই এধরনের ঘটনা আটকাতে পারে। কালি লাগানোর পর অন্তত দু’মিনিট হাতে কিছু যাতে কেউ না লাগায়, সেদিক নজর রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, এমনিতেই ছাপ্পা ভোট নিয়ে প্রত্যেক বছর লাখ লাখ অভিযোগ জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে। আর করোনা আবহে ভোটের কালি ওঠানোর এরকম ফর্মূলা যে জনপ্রিয় হবে ভুয়ো ভোটারদের মধ্যে সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। অন্যদ্দিকে, সজাগ হতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিও। আপাতত দেখার এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী আধিকারিকরা কি ভূমিকা নেন!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!