এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোটের মাঝেই জনতার মন পেতে মহিলাদের 500 টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা মমতার, কটাক্ষ বিরোধীদের!

ভোটের মাঝেই জনতার মন পেতে মহিলাদের 500 টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা মমতার, কটাক্ষ বিরোধীদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপি সঙ্গে লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পথ যে এবার অতটা প্রশস্ত নয়, তা বুঝতে পারছেন নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীরা। লড়াই ক্রমশ জমে উঠতে শুরু করেছে। একদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে যখন দাবি করা হচ্ছে, তারা ক্ষমতায় এলে সোনার বাংলা গঠন করবে, তখন পাল্টা 10 বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেস এতদিন ধরে কি কি কাজ করেছে, তার তথ্য এবং পরিসংখ্যান তুলে ধরছেন‌। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে ক্ষমতায় আসলে একগুচ্ছ চমকপ্রদ প্রকল্পের সৃষ্টি করা হবে বলেও জানিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই 10 বছর ক্ষমতায় থাকার সুবাদে মহিলাদের 50% সংরক্ষণ থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, সবুজসাথীর মত মহিলাদের স্বনির্ভর করবার একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। আর এবার আগামী দিনে নির্বাচনে জয়লাভ করে যদি তারা ক্ষমতায় আসে, তাহলে জেনারেল কাস্টের মেয়েদের হাত খরচের জন্য 500 টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, আজ গড়বেতা বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থীর সমর্থন একটি সভায় উপস্থিত হন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই এই নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী বলেন, “মেয়েরা 500 টাকা করে হাত খরচা পাবে। নতুন স্কিম হবে।” বলা বাহুল্য, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বর্তমানে প্রচারে গিয়ে নেতা-নেত্রীরা দাবি করছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এমন একটি সরকার, যাদের আমলে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত প্রকল্প করে দেওয়া হয়েছে। তাই আগামী দিনে যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে আবার জনতা জনার্দন ক্ষমতায় বসান, তাহলে আরও বেশি করে মানুষের সুবিধার জন্য প্রকল্প ঘোষণা করা হবে। তবে নির্বাচনী নির্ঘণ্টের সময় সেভাবে কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না। যা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল হয়। কিন্তু তার মাঝেও এবার গড়বেতাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগামী দিনে মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য ক্ষমতায় আসলে মাসে মাসে 500 টাকা করে হাত খরচা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং জনমুখী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তৃণমূল নেত্রী নির্বাচনী সভা থেকে এই ধরনের ঘোষণা করলেও, তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তাদের দাবি, ভোটের মুখে এই সমস্ত চমকপ্রদ ঘোষণার মধ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভোটব্যাংককে শক্ত করতে চাইছেন। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। দশ বছর সময় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তখন তাদের এই সমস্ত প্রকল্পের কথা মনে পড়েনি। এখন বিজেপি ওপর যখন মানুষ ভরসা রাখতে শুরু করেছে। তখন চাপে পড়ে মানুষের মন জয় করতে এই ধরনের প্রকল্পের কথা ঘোষণা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এখন বিজেপি তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রমীলা বাহিনীকে শক্তিশালী করবার জন্য ক্ষমতায় এলেই হাত খরচা হবে বলেই দাবি করলেন। যা বাংলার মা-বোনেদের মনে হয়ত খুশির জোয়ার এনে দেবে। কিন্তু নির্বাচনের মুখে কেন এই ধরনের প্রতিশ্রুতি, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন করে তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যকে খন্ডন করতে পাল্টা মাঠে নামতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

বিজেপি সঙ্গে লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পথ যে এবার অতটা প্রশস্ত নয়, তা বুঝতে পারছেন নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীরা। লড়াই ক্রমশ জমে উঠতে শুরু করেছে। একদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে যখন দাবি করা হচ্ছে, তারা ক্ষমতায় এলে সোনার বাংলা গঠন করবে, তখন পাল্টা 10 বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেস এতদিন ধরে কি কি কাজ করেছে, তার তথ্য এবং পরিসংখ্যান তুলে ধরছেন‌। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে ক্ষমতায় আসলে একগুচ্ছ চমকপ্রদ প্রকল্পের সৃষ্টি করা হবে বলেও জানিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই 10 বছর ক্ষমতায় থাকার সুবাদে মহিলাদের 50% সংরক্ষণ থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, সবুজসাথীর মত মহিলাদের স্বনির্ভর করবার একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। আর এবার আগামী দিনে নির্বাচনে জয়লাভ করে যদি তারা ক্ষমতায় আসে, তাহলে জেনারেল কাস্টের মেয়েদের হাত খরচের জন্য 500 টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, আজ গড়বেতা বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থীর সমর্থন একটি সভায় উপস্থিত হন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই এই নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন তিনি। তৃণমূল নেত্রী বলেন, “মেয়েরা 500 টাকা করে হাত খরচা পাবে। নতুন স্কিম হবে।” বলা বাহুল্য, তৃণমূলের পক্ষ থেকে বর্তমানে প্রচারে গিয়ে নেতা-নেত্রীরা দাবি করছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এমন একটি সরকার, যাদের আমলে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত প্রকল্প করে দেওয়া হয়েছে। তাই আগামী দিনে যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে আবার জনতা জনার্দন ক্ষমতায় বসান, তাহলে আরও বেশি করে মানুষের সুবিধার জন্য প্রকল্প ঘোষণা করা হবে। তবে নির্বাচনী নির্ঘণ্টের সময় সেভাবে কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না। যা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের শামিল হয়। কিন্তু তার মাঝেও এবার গড়বেতাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগামী দিনে মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য ক্ষমতায় আসলে মাসে মাসে 500 টাকা করে হাত খরচা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং জনমুখী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে তৃণমূল নেত্রী নির্বাচনী সভা থেকে এই ধরনের ঘোষণা করলেও, তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তাদের দাবি, ভোটের মুখে এই সমস্ত চমকপ্রদ ঘোষণার মধ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভোটব্যাংককে শক্ত করতে চাইছেন। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। দশ বছর সময় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তখন তাদের এই সমস্ত প্রকল্পের কথা মনে পড়েনি। এখন বিজেপি ওপর যখন মানুষ ভরসা রাখতে শুরু করেছে। তখন চাপে পড়ে মানুষের মন জয় করতে এই ধরনের প্রকল্পের কথা ঘোষণা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এখন বিজেপি তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রমীলা বাহিনীকে শক্তিশালী করবার জন্য ক্ষমতায় এলেই হাত খরচা হবে বলেই দাবি করলেন। যা বাংলার মা-বোনেদের মনে হয়ত খুশির জোয়ার এনে দেবে। কিন্তু নির্বাচনের মুখে কেন এই ধরনের প্রতিশ্রুতি, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন করে তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যকে খন্ডন করতে পাল্টা মাঠে নামতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!