প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আর কয়েক ঘন্টা পাবে শুরু পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ইতিমধ্যেই রাজ্যে হিংসা রুখতে ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কারণে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই সূত্রেই রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রমরমা। কিন্তু তার মধ্যেই হয়ে চলেছে একের পর এক খুনের ঘটনা। দলবল নির্বিশেষে রাজ্যে খুনের ঘটনাগুলি নির্বাচন কমিশনের কার্যকারিতার দিকেই প্রশ্ন তুলছে। এবার হুগলির খানাকুলে তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায় পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও। তৃণমূলের অভিযোগ, এই খুনের ঘটনার পেছনে রয়েছে বিজেপি। আর তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।

এদিন খুনের খবর পেয়ে তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারে পুলিশ পৌঁছালে তাঁদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মী ওই যুবকের নাম নূরসে আলম। তিনি খানাকুলের বাসিন্দা। গতকাল সকাল এগারোটার সময় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন, তারপর থেকে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। বুধবার সকালে এলাকায় যুবকের খোঁজ চালানো হয়। দুপুরে খানাকুলের হরিশচকে মুন্ডেশ্বরী নদীতে তৃণমূল কর্মী নূরসে আলমের দেহ উদ্ধার হয়। আর এরপরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় পৌঁছায়। কিন্তু স্থানীয় অধিবাসীরা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।

দীর্ঘসময় পর পুলিশ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কর্মীর দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে বিজেপির যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। খানাকুলের তৃণমূল প্রার্থী নাজমুল করিম অভিযোগ জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে ভাটপাড়া থেকে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী নিয়ে এসেছে এলাকায় বিজেপি। সেই দুষ্কৃতীরাই এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তৃণমূলের তরফ থেকে একথা পুলিশকে বলা হলেও পুলিশের তরফ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। আর এবার তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে পুলিশের কাছে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করার জন্য।

অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। পাল্টা তাঁরাও এই ঘটনার পর্যাপ্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে এলাকাজুড়ে পুলিশি টহল শুরু হয়েছে। যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে একের পর এক হত্যা, সংঘর্ষের খবর সামনে আসছে তাতে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে এবং এই পরিস্থিতি আটকানোর জন্য নির্বাচন কমিশন যে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তাতেও প্রশ্ন উঠছে। কারণ কমিশনের আশ্বাসে যে পরিস্থিতির বিশেষ কিছু বদল করতে পারেনি, সেকথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।