এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ভোটের মুখে এসে জোট নিয়ে আবারও বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন, তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

ভোটের মুখে এসে জোট নিয়ে আবারও বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন, তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল, বিজেপির পাশাপাশি লড়াইয়ে নেমেছে বাম, কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকীর শিবির। তিনে মিলে তৈরি হয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। তবে সংযুক্ত মোর্চা তৈরি হলেও বাস্তবায়নের রাস্তায় বেশ কিছু বাধা দেখা যাচ্ছে। জোট তৈরি হলেও প্রথমত আসন রফা নিয়ে এখনও জটিলতা রয়েছে। একই সাথে যৌথ প্রচার নিয়েও চলছে চাপানউতোর। বাম এবং আইএসএফ শরিকরা ইতিমধ্যেই কংগ্রেস প্রার্থীদের হয়ে প্রচার শুরু করে দিলেও কংগ্রেস প্রার্থীরা কিন্তু এখনো জোট শরিকদের হয়ে প্রচারে নামেননি। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে জোট শরিকদের প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন, জোটের জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছেনা।

বৃহস্পতিবার খেজুরি থেকে যৌথ প্রচার শুরু করে দিয়েছে বাম এবং আই এস এফ এর সূর্যকান্ত মিশ্র এবং আব্বাস সিদ্দিকী। কিন্তু সেই প্রচারে কংগ্রেসের কোন প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। আর এই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে জোটের দুই শরিক। সূত্রের খবর, আলিমুদ্দিনের পক্ষ থেকে বার বার কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে যৌথ প্রচারে শামিল হওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান এর মতন কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রচারে আসলেও সার্বিকভাবে কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কেউ প্রচারে আসছেনা আর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা। জোটের ভবিষ্যৎ কি হবে তাই নিয়ে চিন্তা শুরু করেছেন অন্য দুই শরিক।

শুক্রবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর প্রচার কর্মসূচী ঘোষণা করে আলিমুদ্দিন। জানা গিয়েছে প্রথম পর্বে তিনি উত্তরবঙ্গ জুড়ে প্রচার চালাবেন। সেখানে কংগ্রেসের সুখবিলাস বর্মার হয়ে একাধিক প্রচার কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেবেন। প্রসঙ্গত দেখা যাচ্ছে, বাম নেতারা একের পর এক জোট প্রার্থীদের প্রচার শুরু করলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বা কংগ্রেসের বড় নেতারা এখনও পর্যন্ত জোটের প্রচারে বিশেষ গা করছেন না। এমনকি ভোট এগিয়ে এলেও মনে করা হচ্ছে, মুর্শিদাবাদের বাইরে কোন কিছু নিয়েই ভাবতে নারাজ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর এটাই আলিমুদ্দিনের অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিধান ভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে যে আসন সমঝোতায় প্রদেশ কংগ্রেস রাজ্য নেতৃত্ত্বকে খুশি করতে পারেনি জোট। তাই জোটের প্রচারে নামতে নারাজ প্রদেশ সভাপতি। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে সিপিএম এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা থাকলেও সম্প্রতি সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে বলে জানায় আলিমুদ্দিন ভবনকে। অন্যদিকে পাল্টা চাপ দিতে নদীয়া, শান্তিপুর দাবি করে সিপিএম। এছাড়াও আরও দুটি আসনের অধিকার ছাড়তে বামেরা নারাজ। নদীয়ার তিনটি আসনে কংগ্রেস জয়ী হলেও কোনো বিধায়ককে আর ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা। তাই এবার তিনটি আসনের কোনটিই ছাড়তে রাজি নন বাম নেতারা।

সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, আলিমুদ্দিন কঠোর অবস্থান নেওয়ায় যৌথ প্রচারে কিছুটা বেঁকে বসেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এবং যা কার্যত অস্বস্তিতে ফেলেছে কংগ্রেসের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বদের। তাই বাধ্য হয়ে জানা গেছে, কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার কমিটির শীর্ষ নেতৃত্ব তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই জোট প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে জোর দিতে জেলা নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আর কিছুদিনের মধ্যেই প্রথম দফার নির্বাচন শুরু হতে চলেছে। এই অবস্থায় প্রচারে জোর দেওয়া আবশ্যিক। সেক্ষেত্রে জোটে শামিল প্রতিটি দলকেই দায়িত্ব নিয়ে প্রচারে জোর দিতে হবে। এবং তা যদি না হয়, তাহলে আগামী দিনে ফলাফল যে খুব একটা ভালো হবেনা জোটের জন্য তা এককথায় মেনে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!