এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভোটের মুখে নারদা কান্ড নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে সিবিআই

ভোটের মুখে নারদা কান্ড নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে সিবিআই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারদা থেকে নারদা প্রায় প্রতিটি ঘটনাতেই আর্থিক কেলেঙ্কারির যোগসুত্র রয়েছে। আর সেখানেই রাজ্যের শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ নারদা কাণ্ডের তদন্ত চলছে। শাসক দলের পক্ষ থেকে অবশ্য বারংবার সিবিআইয়ের অভিযোগ খারিজ করা হলেও তদন্তের বিভিন্ন সময় দেখা গেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজ্যের শাসক দল থেকেই হাজিরা দেওয়া চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে। প্রসঙ্গত, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে ঝড় উঠেছিল আর এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবারও নারদা নিয়ে চাপ বাড়াতে শুরু করল সিবিআই।

সিবিআই থেকে দীর্ঘদিন ধরেই দাবী করা হচ্ছে, নারদা কান্ডের চার্জশিট পেশ করতে দেরি হচ্ছে কারণ লোকসভা এবং বিধানসভার স্পিকারের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া যাচ্ছেনা। সিবিআইয়ের এই দাবিকে নস্যাৎ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল অভ্রতোষ মজুমদার জানিয়েছেন, সিবিআই নারদা চার্জশিট জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে কোন রকম আর্জিই জানায়নি। অন্যদিকে যদিও মামলাকারীর তরফের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, স্পিকার এর অনুমতি না নিয়েই এধরনের মামলার ক্ষেত্রে চার্জশিট জমা দিতে পারে সিবিআই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে উল্লেখযোগ্যভাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী চান্দ্রেয়ী আলম জানিয়েছেন, আইন অনুযায়ী এই অনুমতি প্রয়োজন। মামলার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইকে পুরো বিষয়টি নিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নারদা কাণ্ড নিয়ে ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশন রীতিমত ঝড় তোলে সেইসময় রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে। হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে সিবিআই। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই রাজ্যের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাদের। কিন্তু চার্জশিট পেশ না করার জন্য তাঁরা ছাড়াও পেয়ে গেছেন। নারদা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন সে সময় ম্যাথু স্যামুয়েল।

তিনি জানিয়েছিলেন, টাকার বিনিময়ে সুবিধা পাওয়ার জন্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা ও মন্ত্রী এই দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। শোনা যায়, ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশনের ভিডিওতে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে পুলিশ অফিসার মির্জা, প্রয়াত তৃণমূল নেতা কলকাতার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ, প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র, অপরুপা পোদ্দার এবং অন্যান্য নেতাদের। কিন্তু প্রিয় বন্ধু মিডিয়া অবশ্য এই ভিডিওর কোনরকম সত্যতা পরীক্ষা করে দেখেনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে ইতিমধ্যেই শাসকদলের শুরু হয়ে গিয়েছে তোলপাড়। একাধিক নেতা, বিধায়ক হয়ে উঠেছেন বিক্ষুব্ধ দলের প্রতি। তার মধ্যেই সিবিআই এবার নারদা নিয়ে চাপ বাড়ানোয় খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের পক্ষে তা অত্যন্ত অস্বস্তিজনক হয়ে উঠল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!