ভোটের মুখে সিভিক এবং ভিলেজ পুলিশদের জন্য বড়সড় সুখবর! জেনে নিন তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য February 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ক্ষমতায় আসার পরপরই সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশ কর্মী নিয়োগ করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হলেও, বারবার বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করা হয়েছে। যেখানে ভোট রাজনীতির জন্য সরকার বেকারদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। তবে সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার সরকারি কর্মচারীদের মতই কর্মরত অবস্থায় সিভিক ভলেন্টিয়ার পুলিশকর্মীদের মৃত্যু হলে তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের চাকরি দেবে বলে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সিভিক এবং ভিলেজ পুলিশদের জন্য এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় তারা যে অনেকটাই খুশি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিভিক এবং ভিলেজ পুলিশ নিয়োগের সাথে সাথেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। যেখানে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, রাজ্যে খুব সামান্য বেতন এই সিভিক এবং ভিলেজ পুলিশ কর্মীদের। কিন্তু এদের ভবিষ্যৎ কী? পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীদের মত এই সমস্ত কর্মরত ভলেন্টিয়ারদের কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। শুধুমাত্র তাদের ভোটের কাজে ব্যবহার করবার জন্য রাজ্য সরকার ব্যবহৃত করছে বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে ভোটের মুখে সেই সমস্ত রাজ্য পুলিশের অস্থায়ী কর্মীদের জন্য বড়সড় ঘোষণা করতে দেখা গেল রাজ্য সরকারকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের ঘোষণা করা হলেও, তাকে অন্য চোখে দেখতে শুরু করেছে একাংশ। সরকার সরকারি কর্মচারীদের মত এই সমস্ত সিভিক এবং ভিলেজ পুলিশদের পাশে দাঁড়িয়ে হয়ত বা বড় ঘোষণা করল। কিন্তু নির্বাচনের মুখে এটা সরকারের নির্বাচনী চমক ছাড়া আর কিছুই নয় বলে দাবি করছেন অনেকে। বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্য সরকারের এই ধরনের চমকপ্রদক ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেই সমস্ত সিভিক এবং ভিলেজ পুলিশদের ভোটব্যাঙ্ক হয়ত বা অনেকটাই নিজেদের দিকে রাখার চেষ্টা করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের ঘোষণা করা হলেও, তা কতটা সুদুরপ্রসারী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -