এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > ভোটের বিপর্যয়ের পর জোটের প্রাসঙ্গিকতা কতটা? বাম-কংগ্রেস উভয়ের বৈঠকেই উঠে এলো নানা প্রশ্ন

ভোটের বিপর্যয়ের পর জোটের প্রাসঙ্গিকতা কতটা? বাম-কংগ্রেস উভয়ের বৈঠকেই উঠে এলো নানা প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ফল লাভের আশায় জোটবদ্ধ হয়েছিল বাম,কংগ্রেস ও আইএসএফ। কিন্তু জোট করেও আশানুরূপ ফললাভ হয়নি। কেবল মাত্র একটি আসনেই জয়লাভ করতে পেরেছেন জোট সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী। বাম, কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা শুন্য। নির্বাচনে পরাজয়ের পর এই জোট বজায় রাখা কতটা প্রাসঙ্গিক? সে বিষয়ে গতকাল সিপিএম ও কংগ্রেস দুদলের বৈঠকে আলোচনা চলে। দুদলেরই একাধিক নেতারা জোটের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন করলেও, অধিকাংশ হেভিওয়েট জোটের পক্ষে সওয়াল করলেন।

বিধানসভা নির্বাচনের পর দলের ফলাফল ও একাধিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হল সিপিএমের। দুদিন ধরে বৈঠক চলে। বৈঠকে গতকাল বামের রাজ্য নেতৃত্ব ছাড়াও ভার্চুয়াল ভাবে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার প্রমুখরা। একাধিক সিপিএম নেতা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করলেও আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোট নিয়ে অনেকেই অসম্মতি জানিয়েছেন।

বেশ কিছু নেতা জানিয়েছেন, জোটের ব্যাপারে নতুন করে রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করা দরকার। তবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জোটের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সাঁইবাড়ি কাণ্ড নিয়ে অনেক সঠিক তথ্য দিয়েছেন, কিন্তু এই সময় এই বিতর্ক প্রয়োজনীয় নয়। আবার, যুব নেত্রী মীনাক্ষী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট অন্য কেউ হ্যান্ডেল করে সেখানে বিতর্কিত পোস্ট দিলে সেটা উদ্বেগের বিষয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, গতকাল নির্বাচনের পর বিধান ভবনে কংগ্রেসের প্রথম পর্যালোচনা বৈঠক বসে। এই বৈঠকে কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম চৌধুরী, প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী, শংকর মালাকার, অসিত মিত্র প্রমূখরা উপস্থিত ছিলেন। তবে, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, নেপাল মাহাতো, দেবপ্রসাদ রায় প্রমুখরা। এই বৈঠকে কিছু নেতা কংগ্রেসকে জোট ছেড়ে দেবার পক্ষে মত দেন। তবে, অনেকেই জোট বজায় রাখার কথা বলেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, বিজেপিকে রুখতে এবার কৌশলগতভাবে ভোট হয়েছে। সংখ্যালঘু মানুষেরা মনে করেছেন, বিজেপিকে হারাতে পারবেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম-কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ দল হলেও, জয়লাভের সম্ভাবনা নেই। এমন ধারণা মানুষের মধ্যে ছিল।

তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালে বামের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা লাভ করেছিল। ২০১৯ সালে এককভাবে লড়াই করে সুবিধা হয় নি দলের। তাই জোট ভেঙে দেওয়া যুক্তিযুক্ত নয়। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই সব কিছু হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে, জোট যেখানে ছিল, সেখানেই আছে। নতুন করে কিছু হয়েছে, তা তিনি বলছেন না। জোট নেই, সেটাও তিনি বলছেন না। তবে, আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোট নিয়ে তিনি যে সম্মত নন, তাও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, এখনই তাঁরা জোট ভাঙতে ইচ্ছুক নন। বিধানসভার নির্বাচনে যে যেখানে প্রার্থী ছিলেন, উপ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সেভাবেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!