এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোটের সময় দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে অভিযুক্ত দুই হেভিওয়েটের পদত্যাগ চাইলেন তৃণমূল বিধায়ক

ভোটের সময় দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে অভিযুক্ত দুই হেভিওয়েটের পদত্যাগ চাইলেন তৃণমূল বিধায়ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন হুমায়ূন কবীর। ভরতপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে দলের বেশ কিছু নেতা-কর্মীর যথেষ্ট আপত্তি ছিল। কারণ হুমায়ুন কবীর হলেন শক্তিপুরের মাণিক্যহারের বাসিন্দা। ভরতপুর কেন্দ্রের তৃণমূল পর্যবেক্ষক ও ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আজহারউদ্দিন বা সিজার ও ভরতপুর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি নূর আলম শেখের সঙ্গে হুমায়ুন কবীরের যথেষ্ট মতবিরোধ ছিল।

তবে, বিরোধ ভুলে নির্বাচনের পূর্বে একসঙ্গে প্রচারে নামতে দেখা গিয়েছিল তাদের। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, আজহার উদ্দিনকে নির্বাচনী এজেন্ট করেও তাঁকে তাঁর পরিচয় পত্র ও গাড়ি না দিয়ে ভোটের দিনে তাঁকে বিপাকে ফেলে দিয়েছিলেন হুমায়ূন কবীর। নির্বাচনের দিনে তাঁকে বসিয়ে রেখেই নিজেই বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন হুমায়ুন কবীর। হুমায়ুন কবীর অভিযোগ করেছেন, আজহারউদ্দিন ও নূর আলম দুজনেই তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার পরেও তৃণমূলকে ভোট না দেবার জন্য দলের একাধিক কর্মীদের তাঁরা হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন তাঁরা কংগ্রেস ও বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবার নির্বাচনে জয়লাভের পর এই নেতাদের ইস্তফার দাবি জানালেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁদের ইস্তফার দাবি জানিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান ও তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর কাছে তিনি চিঠি দিলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এরা দুজনে দলের হয়ে কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাঁর কথা না শুনলে তাদের ছেড়ে দেবেন না তিনি। তবে, এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বিশেষ কোনো বক্তব্য রাখেননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন, এখন তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে ইচ্ছুক নন।

অন্যদিকে, দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আজহারউদ্দিন ও নূর আলম। এ প্রসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, হুমায়ুন কবীরের দাবি একেবারেই সত্য নয়। দল থেকে তাদের সভাপতি করা হয়েছে। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার এগিয়ে গিয়েছিলেন। আর এবারের ভোটে জয়ী হয়ে যাবার পর হুমায়ুন কবীর তাদের সম্পর্কে কি বলেছেন? এ বিষয়ে তাঁরা জানেন না। তাই এ বিষয় নিয়ে তাঁরা কোনো বক্তব্য রাখতে চান না। এভাবেই মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!