এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের শিক্ষক নেতারা ভোটের কাজে ঢিলেমি দিলেই বড় ধাক্কা খাবেন? মন্ত্রীর হুশিয়ারিতে জল্পনা

তৃণমূলের শিক্ষক নেতারা ভোটের কাজে ঢিলেমি দিলেই বড় ধাক্কা খাবেন? মন্ত্রীর হুশিয়ারিতে জল্পনা


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় শাসনভার কায়েম রাখতে নানা প্রকল্প নিতে দেখা গেছে শাসকদলকে। সেখানে তাঁদের নতুন কর্মসূচি হিসেবে সামনে এসেছিল ‘চলুন মাস্টারমশাই ঘুরি বাড়ি বাড়ি’ এর নাম। জানা গিয়েছিল, একুশের বিধানসভা ভোটে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম রাখতে ভোট প্রচারে ৬০ হাজার শিক্ষকদের কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল।

আর এই গোটা অভিযানের নেতৃত্বে তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি থাকবে বলেই জানা গিয়েছিল। সেখানে ৬০ হাজার শিক্ষককে নিয়ে ১২ হাজার দল তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। সেইসঙ্গে প্রতি দলে পাঁচজন করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা যায়। এই অভিযানে রাজ্য সরকারের ৬৪টি মানবিক প্রকল্প সম্বলিত একটি পুস্তিকা মানুষের বাড়ি-বাড়ি বিনামূল্যে বিতরণ করতেই শিক্ষকদের কাজে লাগানো হবে বলেই জানান হয়।

সেইসঙ্গে তাঁদেরকে সাধারণ মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাজ বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে। এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, ২০১১ সালের পর থেকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত মানবিক প্রকল্প ঘোষণা করেছেন, তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলোচনা করা হবে। সেইসঙ্গে গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ মানুষের মনের কথা জানা হবে।

এরপর সেই অভাব অনটনের কথা তৃণমূল ভবনে রিপোর্ট আকারে দিতে হবে বলেও জানান হয়। যা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানা গিয়েছিল। আর এক্ষেত্রে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা, কেন তৃণমূলের হয়ে প্রচার করবেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিরোধীদের মুখে শোনা যায়, ইচ্ছা না থাকলেও বদলীর ভয় দেখিয়েই নাকি, ভোট প্রচারে যাবার জন্য তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এই নিয়ে এবার প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা গেছে তৃণমূল নেতাকেই। বুধবার কালনা পুরশ্রী মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও মাধ্যমিক শিক্ষা সংগঠনের সভায় শিক্ষকদের উদ্দেশে বার্তা দিতে দেখা গেছে তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে। তাঁর কথায়, কোনওভাবেই কোনও শিক্ষক নেতা ও সদস্যদের ভোটের কাজে বিরত থাকার বিষয়টিকে বরদাস্ত করা হবে না।

সেইসঙ্গে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির ক্ষেত্রেও প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বাড়ি, হাটে বাজারে ও দোকানে, এমনকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষকদের প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিন তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অন্য রাজ্যে শিক্ষকদের বেতনে কোপ পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষকদের বেতন মাসের প্রথমেই দিয়ে চলেছেন।

তাই তাঁর কথায়, ভোট এলেই সংগঠনের কিছু শিক্ষক অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চান না। সেইসঙ্গে কেউ নাম কাটার জন্য, কেউ আবার দলের হয়ে কাজ করার অজুহাতও দেন বলেই জানান তিনি। তাঁর কথায়, সংগঠনের শিক্ষকদের যদি দলের প্রতি আনুগত্য থাকে, তবে ভোটের আগেই দলের হয়ে কাজ করে সেটা দেখান। আর সেখানেই ভোটার লিস্ট থেকে শুরু করে সরকারি প্রকল্প প্রচারে জোর দিতে বলেছেন তিনি।

আর সেখানে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে সরকারি কর্মীদের সহযোগিতা করার কথাও বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। সেইসঙ্গে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, গত লোকসভায় সংগঠনের শিক্ষকদের ভূমিকা দেখে সুশৃঙ্খল ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের কাজ করার কথা বলেছেন। সেইসঙ্গে বিরোধীদের কুৎসা ও অপপ্রচার যাতে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, তার জন্যও সচেতন থাকতে বলতে দেখা গেছে তাঁকে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!