ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগ এনআরএস মেডিকেল কলেজের কলকাতা রাজ্য July 16, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই মুহূর্তে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যে যথেষ্ট আশঙ্কাজনক, সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ সবাই। অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলার সাথে সাথে এবার রাজ্যজুড়ে হাসপাতালগুলিতেও স্থান অপ্রতুল হতে শুরু করেছে। যার ফলে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে রব উঠেছে স্বাস্থ্য পরিসেবা ভেঙে পড়ার। এই অবস্থায় আবার নতুন করে আশঙ্কা জাগিয়ে এনআরএস মেডিকেল কলেজেও করোনা সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার এনআরএস মেডিকেল হাসপাতাল স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘোষণার আগেই নিজেরাই করোনা বিভাগ চালু করে দিল। রাজ্যের প্রায় সমস্ত মেডিকেল কলেজেই ইতিমধ্যে করোনা থাবা বসিয়েছে। বাদ রইল না শেষমেষ এনআরএস মেডিকেল কলেজও। আর তাই জরুরী ভিত্তিতে আগামী 7 দিনের মধ্যে এনআরএস হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড চালু হচ্ছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, এনআরএস এর অস্থি বিভাগে করোনা ওয়ার্ড চালু হবে আপাতত 110 টি বেডসহ। পরবর্তীতে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলে জানা গেছে। এর সঙ্গে চারটি সিসিইউ বিভাগ থাকবে বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বর্তমানে কলকাতা শহরে কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং ইএসআই জোকা হাসপাতালে করোনারি চিকিৎসা হয়। কিন্তু যেভাবে নিত্যদিন রাজ্যজুড়ে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে এবার রোগীদের হয়রানির ছবি উঠে আসছে বিভিন্ন জায়গায়। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে জায়গা না পেয়ে মৃত্যুও ঘটেছে রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে এনআরএস হসপিটাল করোনা হাসপাতাল হিসেবে কাজ শুরু করার খবরে মিলেছে স্বস্তি। স্বাস্থ্য দপ্তরের সিদ্ধান্তের আগেই এনআরএস মেডিকেল বিভাগ যেভাবে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে করোনা বিভাগ চালু করছেন, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে মারাত্মকভাবে বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণকে ঠেকিয়ে রাখতে বিভিন্ন জায়গায় কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া লকডাউন চলছে। কিন্তু তা সত্বেও পরিস্থিতির যে বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি তা এতদিনে পরিস্কার সবার কাছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যাতে ন্যূনতম চিকিৎসা পান, সে কথা মাথায় রেখেই এনআরএস হাসপাতাল রাজ্যের বুকে তৃতীয় করোনা হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত হবে। আপাতত দেখার, এনআরএসের এই সিদ্ধান্তে রাজ্যের মানুষের কোনো সুরাহা হয় কিনা! আপনার মতামত জানান -