এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভুয়ো টিকাকান্ডে বাড়তি অক্সিজেন পেল বিজেপি, শাসকদলকে তুলোধোনা নাড্ডার!

ভুয়ো টিকাকান্ডে বাড়তি অক্সিজেন পেল বিজেপি, শাসকদলকে তুলোধোনা নাড্ডার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  অতিমারী করোনা ভাইরাসের দাপটে সবাই এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে এখন ভ্যাকসিনেশনের ওপর জোর দিয়েছে। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন নিয়েও ব্যাপক কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে রাজ্যে। যেখানে কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়েছে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের। কেউ কেউ আবার ভুয়ো ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে টিকা নিয়েছেন।

স্বাভাবিকভাবেই করোনা ভাইরাসের এই সংকটকালীন মুহূর্তে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসায় রীতিমতো তৃণমূলকে বাগে পেয়েছে বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তাই বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে সেই বিষয়টি নিয়েই সবথেকে বেশি সোচ্চার হতে দেখা গেল গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। যেখানে দুর্নীতি ইস্যুতে ভুয়ো টিকা কাণ্ড নিয়ে সরাসরি তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের কথা তুলে ধরে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা যায় বিজেপির এই শীর্ষ নেতাকে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। আর সেই বৈঠকেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে কসবার ভুয়ো টিকার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “করোনার টিকা নিয়ে দুর্নীতি একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে।  সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকেও ভুয়ো টিকা দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দিলে এইরকমই হয়। সাংসদকেও ভুয়ো টিকা পেতে হয়।”

পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবথেকে কম টিকাকরণ হয়েছে বলেও দাবি করতে দেখা গেল জেপি নাড্ডাকে। স্বাভাবিকভাবেই হেভিওয়েট বিজেপি নেতার এই দাবি ঘিরে এখন রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছে শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেসকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে গোটা দেশ করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। আর সেই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের বুকে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসায় রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছে বাংলার তৃনমূল সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিরোধী দলে থাকা ভারতীয় জনতা পার্টি যে এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে সারাদেশে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি পরায়ন চেহারা নিয়ে কটাক্ষ করবে, তা কার্যত ধরে নেওয়া হয়েছিল। আর সেই মতই দলের কর্মসমিতির বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে সোচ্চার হয়ে তৃণমূলের চাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে সারাদেশে টিকাকরণে একমাত্র বাংলাই এগিয়ে রয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু সেই দাবিকেও কার্যত নস্যাৎ করে দিয়ে সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ টিকাকরণের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে বলে দাবি করতে দেখা গেল জেপি নাড্ডাকে। সব মিলিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই দাবি তৃণমূলের কাছে কতটা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে শাসক দলের পক্ষ থেকে কি প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!