প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে যখন ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে, ঠিক সেসময় আরও একটি চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এলো। যা থেকে প্রশাসন বড়োসড়ো চাপের মুখে পড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি কসবা এলাকায় ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় দেবাঞ্জন দেব নামক এক প্রতারক আর তারপর থেকেই সামনে আসছে একের পর এক তথ্য। ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ড ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।

তার মধ্যেই নতুন করে আরো একটি এমন অভিযোগ উঠেছে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি 60000 কোভিড ভ্যাকসিন গায়েব হয়ে গিয়েছে। আর এই অভিযোগ তুলেছেন গেরুয়া শিবিরের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা অমিত মালব্য। তিনি এ ব্যাপারে একটি টুইট করেছেন আর সে টুইট থেকেই শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। জানা গিয়েছে, কলকাতার বালিগঞ্জ কোল্ড চেইন থেকে ইতিমধ্যেই হাপিস হয়েছে 60000 ভ্যাকসিন। কে বা কারা এই ভ্যাকসিন সরিয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য কিছুই জানা যায়নি।

অমিত মালব্য আরও অভিযোগ করেছেন, ভবানীপুর বিধানসভার চেতলায় মেয়রের হেলথ ক্লিনিকে এই ডোজগুলি পাওয়া যায়। যদিও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এ ব্যাপারে এতদিন কিছু জা্নতেন না বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এই অভিযোগ করে অমিত মালব্য ইঙ্গিত করেন, উপনির্বাচনে মমতা ব্যানার্জ্জী অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন ভবানীপুর থেকে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন ডোজ চেতলায় পাওয়া নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। প্রশ্ন উঠেছে, এত বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন কেন সরানো হল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে না জানিয়ে?

এর পেছনেও কি আরও বড় প্রতারণা কাজ করছে? একাধারে যেমন কসবা ভু্য়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে, যা নিয়ে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলার এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি গেরুয়া শিবির। আর তাই এবার কেন্দ্রীয় নেতার বড়সড় অভিযোগ ভ্যাকসিন নিয়ে। ভ্যাকসিন উধাওয়ের মত চাঞ্চল্যকর অভিযোগ থেকে রাজ্য প্রশাসন কিভাবে মুক্তি পায়, সেটাই এখন দেখার।