এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় >   ভিভিপ্যাট নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়ানোর কথা ভাবছে তাদের কপালে অশেষ দুঃখ – স্পষ্ট নির্বাচন কমিশনের কথাতেই

  ভিভিপ্যাট নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়ানোর কথা ভাবছে তাদের কপালে অশেষ দুঃখ – স্পষ্ট নির্বাচন কমিশনের কথাতেই

এতদিন দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া চলার সময় বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন যে, ইভিএমে কারচুপি হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে সে অভিযোগ কখনও তেমনভাবে প্রমাণিত হয় না। কিন্তু এবারে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটে ব্যবহৃত ভিভিপ্যাটে ভোট হলেও সেই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় গলদ রয়েছে এরকম কেউ অভিযোগ করলে তাঁকে সেই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে, নাহলে তার জন্যও শাস্তির বিধান রয়েছে বলে জানাল নির্বাচন কমিশন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এবারের লোকসভা নির্বাচনেই প্রথম প্রতিটি বুথে এই ইভিএমের সাথে ভিভিপ্যাটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু কি এই ভিভিপ্যাট? জানা গেছে, এটি এমন একটি যন্ত্রাংশ যেখানে ভোটাররা ইভিএমে ভোট দেওয়ার পর ঠিক কাকে তারা ভোট দিলেন তা প্রিন্টিং আকারে সেখানে দেখতে পাবেন। আর এরপর সেই নথিটি সেই প্রিন্টিং মেশিনের ভিতরেই গচ্ছিত থাকবে।

অন্যদিকে ভোট গণনার সময় যদি কোনোভাবে কোনো পুনর্গণনার প্রয়োজন হয়, তাহলে সেই তথ্য ধরে ফের গণনা প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। কিন্তু এবারে সেই ভিভিপ্যাট ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরেও যদি কোনো ভোটার তার ভোটদান প্রক্রিয়া নিয়ে কোনরূপ অভিযোগ তোলেন তাহলে সেই অভিযোগ তাঁকে প্রমাণ করতে হবে অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রের খবর, কোনো ভোটদাতা যদি ইভিএমে ভোট দিয়ে ভিভিপ্যাট নিয়ে কোনোরূপ অভিযোগ তোলেন সাথে সাথেই সেই অভিযোগ নথিভুক্ত করে সেই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার জেলা নির্বাচন দপ্তরে তা জানাবেন। আর তার পরেই সেই প্রিসাইডিং অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে একটি টেস্ট ভোটের ব্যবস্থা করা হবে। যেখানে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের এজেন্টরাই উপস্থিত থাকবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি সেই অভিযোগকারীকে দিয়ে একাধিকবার ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া ক্যামেরায় ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে। আর এর পরেও যদি ভিভিপ্যাটের কোনোরূপ গোলমাল সামনে আসে তাহলে সেই বুথে নতুন করে ভোট প্রক্রিয়া করা হবে। কিন্তু যদি সেই অভিযোগকারীর সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাঁর জেল হেফাজতের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের এহেন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রায় সকলেই। কেননা যে দেশের নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই শাসন ক্ষমতায় বসে কোনো একটি রাজনৈতিক দল, সেইখানে যদি কোনো ব্যক্তি সেই নির্বাচন ব্যবস্থাটির ওপরই আস্থা হারিয়ে ফেলে তাহলে তো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেই নির্বাচনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করবেই। আর তাই এবারে সেই নির্বাচনে কোনরূপ অনাস্থা প্রকাশ করলে সেই অভিযোগকারীকে তা প্রমাণ করার কথা বলে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করল নির্বাচন কমিশন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

তবে নির্বাচন কমিশনের এহেন উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজনৈতিক মহল। এদিন এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রবীর রায় বলেন, “যদি এমন হয়ে থাকে তাহলে তা ভারি অন্যায়। কিন্তু গোলযোগ দেখা গেলেও জেল খাটার ভয়ে অনেকেই অভিযোগ জানাতে যাবেন না।”

অন্যদিকে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান জেলা বিজেপির সভাপতি শুভেন্দু সরকার এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী। তবে নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আরএসপির জেলা সম্পাদক তথা বালুরঘাটের বাম বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরী।

সবমিলিয়ে এবার আর শুধু অভিযোগ নয়, তা প্রমাণ করতে হবে নাহলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হল রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!