এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > গত দেড় মাস ধরে কেউ ‘চোখ রাখত’ পার্থর উপর, দিদিকে জানিয়েও মিলল না সুরাহা

গত দেড় মাস ধরে কেউ ‘চোখ রাখত’ পার্থর উপর, দিদিকে জানিয়েও মিলল না সুরাহা


মৃত্যু যখন দুয়ারে এসে কড়া নাড়ে তখন হয়ত তা অনুভব করা যায় – হয়ত এমনটাই হয়েছিল সদ্য খুন হওয়া ব্যাঙ্ককর্মী পার্থ চক্রবর্তীর সাথেও। আর তাই তো তাঁর নানা কথাই এখন তাঁর পরিবারের পুরোনো স্মৃতিকে উসকে দিতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, চাকদহের গোরপাড়া টুনিপুকুরে একটি বাড়িতে বাবা পঙ্কজ চক্রবর্তী এবং মা মনিকা চক্রবর্তীর সাথে থাকতেন ছেলে পার্থ চক্রবর্তী।

অন্যদিকে, পার্থবাবুর একমাত্র দিদির চাকদহে বিয়ে হয়েছে। স্বামী ও পুত্রকে নিয়ে তিনি সেখানেই থাকেন। জানা যায়, কর্মপিপাসু পার্থ চক্রবর্তী গত বুধবার প্রতিদিনের মত ব্যাঙ্কের টাকা কালেনকশন করতে বেরিয়েছিলেন। ভাই ব্যাঙ্ক থেকে ফিরলেই দিদি গায়ত্রী রায় তাঁর সাথে ফোনে কথা বলেন। কিন্তু সেদিন অপেক্ষা করেও ভাইয়ের ফোন এল না। এল নিথর মৃতদেহ!

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ জানাল, পার্থ চক্রবর্তী আর নেই। কিন্তু যে মানুষটা কোনো শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াই সকালে কাজে বেরোল তার এহেন দশা কেন? কে খুন করল তাঁকে? এর পেছনে উঠে এল বিস্ফোরোক তথ্য। সূত্রের খবর, মাঝেমধ্যেই দিদি গায়ত্রী রায়কে পার্থবাবু নিজেই নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা বলতেন! এতদিন এই নিয়ে কিছু জানা না গেলেও, পার্থবাবুর মৃত্যুর পরেই সেই কথা প্রকাশে এনেছেন স্বয়ং তাঁর দিদি।

পার্থবাবুর দিদি গায়ত্রী রায় জানান, “একটা বাইক কিনেছিল। কিন্তু ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ সেই বাইক না রাখতে দিলে সাইকেল নিয়েই টাকা কালেকশন করত। গত দেড় মাস ধরে ওর পেছনে কেউ ফলো করত। সেটা ও আমাকে বারবার বলেছে”। কিন্তু কে বা কারা ফলো করত পার্থ চক্রবর্তীকে? তাহলে কি কর্মজগতে শত্রুতার কারনেই প্রান হারাতে হল এই কর্মপিপাসু মানুষটিকে?

এই সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে পেতে এখন মৃত ভাইয়ের খুনিদের হদিশে সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন – ছেলের মৃত্যুতে মাঝে মাঝেই মূর্ছা যাওয়া মনিকা চক্রবর্তী এবং দিদি গায়ত্রী রায়। সব মিলিয়ে টাকা কালেকশনে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ হারানো ব্যাঙ্ককর্মী পার্থ চক্রবর্তীর মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!