এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যে বিদ্যুৎ,টেলফোনে নেট নিয়ে বড়সড় দাবি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের, মানুষের সামনে শুধুই অন্ধকার !

রাজ্যে বিদ্যুৎ,টেলফোনে নেট নিয়ে বড়সড় দাবি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের, মানুষের সামনে শুধুই অন্ধকার !


আমপানের জেরে মফস্বল তো বটেই খোদ কলকাতা শহরের বুকেই ১০০ ঘন্টা ধরে মানুষজন অন্ধকারে রয়েছেন। পাচ্ছেন না সাধারণ পরিষেবাটুকুও। নেই জল, বিদ্যুৎ আর তার দাবিতে মানুষজন কোরোনাকে উপেক্ষা করেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ঠিক কতবছর পরে কলকাতায় মানুষ এতদিন ধরে বিদ্যুত্‍ হীন হয়ে আছেন তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না ।সেনাবাহিনী সাহায্য করলেও এখনো অনেক জায়গায় বিদ্যুত্‍হীন ।

এদিকে আমপান বিধ্বস্ত এলাকায় রবিবারের মধ্যে পরিষেবা ৯০% ঠিক হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল টেলি সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই। ঝড়ের চার দিন পরে অনেক জায়গাতেই ফোনের সংযোগ এসেছে ঠিকই। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি যে কোনো অংশেই পূরণ হয়নি, তা গ্রাহকদের অভিযোগেই স্পষ্ট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই অভিযোগ জানাচ্ছেন যে , ফোনে সব সময় সিগন্যাল না-থাকায় কথা বলা বা নেট দেখা যাচ্ছে না। যার জেরে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষজন। কি হচ্ছে সেই খবর দেখা তো দূর, নূন্যতম দরকারি সংগী কেনার জন্য ফোন করে অর্ডারটাও দিতে পারছেন না।

অনেকের অভিজিগ অনেক কান্ড করে যদিওবা এসেছে ফোনের সংযোগ কিন্তু একটানা একটানা থাকছে না , কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না , ফোন যাচ্ছে না, কথার মাঝে লাইন কেটেছে।যদিও টেলি সংস্থাগুলির দাবি,তাদের তরফ থেকে সারখমের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এদিকে ক্যালকাটা টেলিফোন্স তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিপর্যস্ত পরিকাঠামো সারাতে ইস্টার্ন টেলিকম প্রজেক্টসের বিশেষজ্ঞদেরও সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে তারাও সাহায্য করবেন এছাড়া পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্মীদের রবি ও সোমবারের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। মুখে যতই দাবি করা হোক না কেন পরিষেবা এখনো পাচ্ছেন না মানুষজন যা নিয়েই বাড়ছে ক্ষোভ।

অন্যদিকে একই দাবি বিদ্যুৎ দপ্তরের। বিদ্যুত্‍ দফতরের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির কিছু অঞ্চলে রবিবার থেকে ন্যূনতম সংযোগটুকু চালু করা গিয়েছে। আগের তুলনায় অবস্থা অনেকটা সামলে ওঠার দাবি করছে সিইএসসি-ও। বেশ কিছু জায়গায় শনিবার রাতে ও রবিবার সকাল থেকে পরিষেবা চালু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থা।

রাজ্যের বিদ্যুত্‍মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, লোকের অভাবেই কাজে সমস্যা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রাখতে হচ্ছে। তাই একসঙ্গে অনেক কর্মীকে আনা যাচ্ছে না। যানবাহনও চলছে না তেমন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বহু অঞ্চলে কর্মীরা পৌঁছতে পারছেন না।

আর সিইএসসি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিস্ট্রিবিউশন) অভিজিত্‍ ঘোষের দাবি, কলকাতায় ৯২% জায়গাতেই বিদ্যুত্‍ ফিরেছে। বাকি অঞ্চলে কর্মী বাড়িয়ে দ্রুত কাজ হচ্ছে। বিভিন্ন পাম্পিং স্টেশন, বড় আবাসনে জেনারেটরও ব্যবহার করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!