এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > BREAKING NEWS – এক সপ্তাহের মধ্যেই বড়সড় পরিবর্তন বিজেপিতে! বদলে যাচ্ছে পুরো রাজ্য কমিটি

BREAKING NEWS – এক সপ্তাহের মধ্যেই বড়সড় পরিবর্তন বিজেপিতে! বদলে যাচ্ছে পুরো রাজ্য কমিটি

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – করোনা আবহে আপাতত গৃহবন্দী গোটা বিশ্ব। ফলে বাংলার রাজনৈতিক ময়দান কিছুটা হলেও স্তিমিত। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই তীব্র হচ্ছে শাসক-বিরোধী লড়াই। এই পরিস্থিতিতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বড়সড় পরিবর্তন হতে চলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিতে। বহু কাঙ্খিত রাজ্য কমিটির ঘোষণা করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। আমাদের দিল্লির এক সূত্র জানাচ্ছে, মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই এই কমিটি ঘোষণা হয়ে যেত।

কিন্তু করোনার কারণে গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফলে, বিজেপিও নতুন কমিটি ঘোষণা পিছিয়ে দেয়। দুই পর্যায়ের লকডাউনের শেষে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো – ফলে এবার ধীরে ধীরে হয়ত লকডাউন শিথিল করার পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় বিজেপি।

বিশেষ করে বর্তমান রাজ্য বিজেপির তরফে বারেবারে অভিযোগ জানানো হচ্ছে, করোনার সময়েও নাকি ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে বিজেপি জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে নেতা-কর্মীদের ত্রাণ বিতরণ থেকে আটকানো হচ্ছে। অন্যদিকে, রেশন বিলি নিয়েও দুর্নীতি শুরু হয়েছে। আগামীদিনে এই দুই ঘটনা আরও তীব্র হতে পারে। আর তাই, আগামী বিধানসভা নির্বাচন যাঁদের নেতৃত্বে বিজেপি লড়তে চাইছে – আর দেরি না করে তাঁদের এবার ময়দানে নামিয়ে দেবার পরিকল্পনায় আছে কেন্দ্রীয় বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কারা থাকতে চলেছেন বিজেপির নতুন এই কমিটিতে? পুরোনো কমিটির কারা কারা পদ বাঁচাতে পারবেন? তৃণমূল বা অন্য দল ছেড়ে যাঁরা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন তাঁদের মধ্যেই কে কে ঠাঁই পাচ্ছেন কমিটিতে? মুকুল রায় কি পদ পাচ্ছেন? এইসব প্রশ্ন – যা সাধারণ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মনে ঘুরছে – তা আমরা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করি। দিল্লির ওই সূত্রটি জানাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা বাংলায় জিততে চাইছেন। সুতরাং কমিটিতে তাঁরাই ঠাঁই পাবেন – যাঁরা বর্তমান শাসকদলের ঘুম ছুটিয়ে দিতে পারবেন।

ওই সূত্র আরও জানাচ্ছে, এখানে নতুন-পুরোনো বলে আলাদা কিছু নেই। নতুন রাজ্য কমিটিতে যোগ্যতার ভিত্তিতেই সকলে পদ পেতে চলেছেন। কিন্তু, কিভাবে মাপা হল সেই যোগ্যতা? আমাদের সূত্র জানাচ্ছে – এখানে কাজ করেছে তিনটি সংস্থা ও ৩ জন ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ মতামত। একদম নীচুতলার বিজেপি কর্মীদের কাছ থেকে একদফা ফিডব্যাক নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সঙ্ঘও নিজেদের মত করে বিভিন্ন খোঁজখবর নিয়ে পাঠিয়েছে। আর সর্বোপরি অমিত শাহের এক নিজস্ব টীম বাংলার প্রতিটি বিধানসভার প্রতিটি মন্ডল ধরে তথ্য জোগাড় করেছে।

এরপর এইসব তথ্য ট্যালি করে প্রাথমিক একটি তালিকা তৈরী করা হয়েছে। এরপর সঙ্ঘনেতা প্রদীপ যোশী, বাংলার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ অধুনা যাঁর চোখ দিয়ে বাংলা দেখছেন, সেই স্বপন দাশগুপ্তের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। আর তারপরেই ঠিক হয়েছে চূড়ান্ত তালিকা। দিল্লির ওই সূত্র আরও জানাচ্ছে, বিজেপির এই নতুন রাজ্য কমিটি যে তৈরী হচ্ছে – তা কার্যত শাসকদলের ঘুম কেড়ে নেবে। আগামী দিন সাতেকের মধ্যেই সেই কমিটি ঘোষণা হয়ে যেতে পারে বলে ওই সূত্র মারফত জানা গেছে। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি নিয়ে জল্পনা চরমে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!